যাত্রী মোটে ৬০০! লাভ হচ্ছে না ?রাতের মেট্রো?য়, বন্ধের মুখে পরিষেবা?
প্রতিদিন | ১৯ জুন ২০২৪
নব্যেন্দু হাজরা: জনপ্রিয় হল না রাতের ‘বিশেষ’ মেট্রো পরিষেবা। হচ্ছে না যাত্রী। তাই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।
আদালতের গুঁতোয় লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সোম থেকে শুক্র প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত ১১টায় একটা বিশেষ মেট্রো চালানো শুরু হয়। ২৫ শে মে থেকে চালু হওয়া বিশেষ মেট্রো যদিও বেশিরভাগ দিনই থাকে ফাঁকা। রাত করে বাড়ি ফেরা কিছু অফিসকর্মীকেই নিয়েই ছোটে ট্রেন। স্টেশনে ঢোকার অধিকাংশ গেটও থাকে বন্ধ। ফলে অনেকেই প্রবেশদ্বার খুঁজে না পেয়ে ফিরেও যান। দিন কুড়ি শেষে দেখা যাচ্ছে আপ-ডাউন মিলিয়ে দুটি মেট্রোয় দিনে গড়ে ৬০০ জন করে যাত্রী হচ্ছে। টিকিট থেকে রোজগার হচ্ছে ৬০০০ টাকা। আর এখানেই এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রশ্ন তুলেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি করে তারা জানিয়েছে, একেকটি ট্রিপ চালাতে মেট্রোর খরচ পড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুটি মেট্রোয় ২ লাখ ৭০ হাজার। সেইসঙ্গে আরও অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ ওই মেট্রোটি চালাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর আয় হয় মাত্র ছহাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই তাই এই মেট্রো ছোটানো নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তায়।
যাত্রীদের বক্তব্য, শেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দমদম ও কবি সুভাষ থেকে ছাড়ার পর এই ট্রেনটি প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে। তাই কেউ যদি শেষ ট্রেন মিস করেন, পরের এই বিশেষ মেট্রো ধরতে তাঁকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে স্টেশনে। কেউই তা করবেন না। তাঁদের বক্তব্য, মেট্রো যদি সতি্যই পরিষেবার সময় বাড়ানো নিয়ে আন্তরিক থাকতো, তাহলে ৯টা ৪০ মিনিটের পর সাড়ে ১০টার মধ্যে অন্তত চারটে মেট্রো চালাত। কিন্তু তা না করে রাত ১১টায় মেট্রো দেওয়া আসলে লোক দেখানো। নির্বাচনের মধ্যে এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সেই সময় মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছিল, দেড় ঘণ্টা পর একটা মেট্রো দিলে তা কখনই জনপ্রিয় হতে পারে না। হলও না। ধীরে ধীরে তাই এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথাই জানাবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অত রাতে মেট্রো চালাতে গেলে বহু কর্মীকেই বাড়তি সময় থাকতে হয়। টিকিট কাউন্টার থেকে কন্ট্রোলরুম সর্বত্রই লোক থাকেন। বাড়তি সময় কাজের জন্য তাঁদের বাড়তি টাকাও দেওয়া হয়। ফলে এত খরচ করেও যাত্রী হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশেষ পরিষেবা মেট্রো কতদিন টানবে তা নিয়েই তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।