সুব্রত বিশ্বাস: সাতসকালে এক ঝাঁকুনিতে থেমে গিয়েছিল ট্রেন। তার পর দিনভর টানাপোড়েন। একের পর এক মৃত্যু। এসব পেরিয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে সুস্থ যাত্রীদের নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছল অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করলেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। তবে যাত্রীদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বলা যায়, মৃত্যুভয় যেন তাড়া করছে তাদের।
সোমবার সকাল ৮ টা বেজে ৪৫ মিনিট। রাঙাপানির কিছুটা দূরে একটা বিকট শব্দ আর প্রবল ঝাঁকুনি। তার পর কয়েক মিনিট সবটা স্তব্ধ। সম্বিত ফিরতে যাত্রীরা টের পেয়েছিলেন কী ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধার কাজ। মৃত্যু হয় একাধিক যাত্রীর। আহত বহু। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে রেলের লক্ষ্য ছিল, দ্রুত সুস্থ যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটিকে কলকাতা ফেরানো। বিকেলে পরিস্থিতি আয়ত্তে এলে ট্রেনটিকে প্রথমে মালদহ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রওনা হয় শিয়ালদহের উদ্দেশে।
মঙ্গলবার ভোর। ঘড়ির কাটায় ৩ টে বেজে ২০ মিনিট। শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর ঢুকল অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যাত্রী সংখ্যা ১২৯৩। স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন ফিরহাদ হাকিম, স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, শিয়ালদহের ডিআরএম-সহ একাধিক আধিকারিক। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতেই একে একে নেমে পড়েন যাত্রীরা। সকলের চোখে আতঙ্ক। কেউ কেউ নেমেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। কেউ আবার জড়িয়ে ধরলেন ফিরহাদ হাকিমকে, কেঁদে ফেললেন। স্টেশনে নেমেই কারও মুখে ভংয়কর সেই দৃশ্যের কথা। এদিকে রাজ্যের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাসের। ছিল অ্যাম্বুল্যান্সও। তবে, যাত্রীরা সকলেই সুস্থ ছিলেন। ফলে অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন পড়েনি।