• থাকা-খাওয়ার খরচে সবচেয়ে দামি মুম্বই, কলকাতা কত নম্বরে?
    আজ তক | ১৯ জুন ২০২৪
  • কলকাতাতেই জীবনযাপনের খরচ সবচেয়ে কম। না, কোনও রাজনৈতিক নেতা বা কলকাতাপ্রেমীর কথা নয়। আন্তর্জাতিক মানের সমীক্ষাতেই উঠে আসছে এই তথ্য। দেশ তথা বিশ্বের তাবড় শহরের তুলনায় কলকাতায় বাড়ি ভাড়া, খাবারদাবারের খরচ যতসামান্য। মুম্বই, দিল্লির সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না। বিশ্বের সবচেয়ে খরচসাপেক্ষ শহরের তালিকায় কলকাতা প্রথম ২০০-তেও নেই।
    HR কনসালটেন্সি মার্সারের এক সমীক্ষা অনুসারে মুম্বই প্রবাসীদের জন্য দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। Mercer-এর '২০২৪ কস্ট অফ লিভিং' সমীক্ষা অনুসারে ব্যক্তিগত পণ্য, পাওয়ার, ইউটিলিটি, পরিবহন এবং বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে মুম্বই বেশ ব্যয়বহুল একটা শহর। 

    বিশ্বের সবচেয়ে খরচসাপেক্ষ শহর হিসাবে হংকং তার স্থান ধরে রেখেছে।
    মার্সারের প্রকাশিত তালিকায়, বিশ্বের সবচেয়ে খরচবহুল শহরের তালিকায় মুম্বই ১৩৬ র‌্যাঙ্কে। এটা আপাততভাবে কম মনে হতে পারে। কিন্তু আগের বারের সমীক্ষার থেকে ১১ ধাপ এগিয়ে এসেছে মুম্বই। দিল্লি চার স্থান বেড়ে ১৬৪-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে চেন্নাই ৫ স্থান নেমে ১৮৯-এ, বেঙ্গালুরু ছয় স্থান কমে ১৯৫-এ এবং হায়দরাবাদ ২০২-এ অপরিবর্তিত রয়েছে। পুনে আট স্পট লাফিয়ে ২০৫-এ আছে। কলকাতা চার স্পট বেড়ে ২০৭-এ পৌঁছেছে।

    মুম্বই এশিয়া মহাদেশের ২১তম সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। দিল্লি ৩০ তম।

    সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১২-১৫ শতাংশ। মুম্বই ৬-৮ শতাংশ, বেঙ্গালুরু ৩-৬ শতাংশ এবং পুনে, হায়দ্রাবাদ এবং চেন্নাইতে ২-৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, রিপোর্টে বলা হয়েছে।

    পরিবহন খরচের নিরিখে মুম্বই সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তারপরেই বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে, কলকাতা দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, রুটি জাতীয় খাবার, পানীয়, তেল, ফল এবং সবজির জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী। এর মধ্যে পুনেও রয়েছে। দিল্লিতে অ্যালকোহল এবং তামাকজাত পণ্যের দাম সবচেয়ে কম।

    ব্যক্তিগত যত্নাদির পণ্যের প্রেক্ষিতে, মুম্বই সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তারপরে চেন্নাই। কলকাতা সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল। শক্তি এবং ইউটিলিটি খরচ মুম্বইতে সবচেয়ে বেশি, তারপরে পুনে।

    আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিক থেকে দেশের শীর্ষ পাঁচটি শহরের র‌্যাঙ্কিংয়ে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সিঙ্গাপুর, জুরিখ, জেনেভা, বাসেল, বার্ন, নিউ ইয়র্ক সিটি, লন্ডন, নাসাউ এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের পরে হংকং তার শীর্ষস্থান বজায় রেখেছে।
    'আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, ভারত আমাদের ২০২৪ সালের জীবনযাত্রার খরচের সমীক্ষায় নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। মুম্বইয়ের র‍্যাঙ্কিং বাড়লেও, ভারতীয় শহরগুলির সামগ্রিক ক্রয়ক্ষমতা বিভিন্ন মাল্টিন্যাশানাল সংস্থা বা ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য বেশ আকর্ষণীয়। এর ফলে এখানে সারা বিশ্বের সেরা প্রতিভাদের আকৃষ্ট করার প্রবণতা রয়েছে। ভারতের বাজারে তুমুল অভ্যন্তরীণ চাহিদা রয়েছে এবং ভারত একটি সার্ভিস সেক্টর দ্বারা চালিত অর্থনীতি। সেই কারণে বিশ্বব্যাপী বসবাসের খরচ এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপটে ভারতের বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান আন্তর্জাতিক নিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য,' মার্সারের নেতা ড. রাহুল শর্মা, ইন্ডিয়া মোবিলিটি।
  • Link to this news (আজ তক)