• মুখ্যমন্ত্রী-অনন্ত মহারাজ বৈঠক; 'কোনও রাজনৈতিক দলে নেই', দাবি বিজেপি সাংসদের!
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: লোকসভা ভোট মিটতেই নয়া সমীকরণ? কোচবিহারে এবার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করল তৃণমূল? হিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

    ঘটনাটি ঠিক কী? এবারের লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অমিত শাহের 'ডেপুটি' নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দিয়েছেন ঘাসফুলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। তবে লড়াইটা সহজ ছিল না একেবারেই।কোচবিহার কেন্দ্রে রাজবংশী ভোট বড় ফ্যাক্টর। সেই রাজবংশীদের একটি অংশ তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে। কিন্তু অপর গোষ্ঠীর নেতা অনন্ত মহারাজ আবার বিজেপির পক্ষে। বস্তুত, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে গেরুয়াশিবির। কিন্তু দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে অনন্তের মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরেই রীতিমতো 'বেসুরো' তিনি।

    এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এখন কোচবিহারে। এদিন মনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান তিনি। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৈঠক হয়। তাহলে এবার তৃণমূল যোগ দিচ্ছেন? অনন্ত বলেন, 'আমার কি মতি মরে গিয়েছে! আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আমি না তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, না মুখ্য়মন্ত্রী মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। সৌজন্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল'। সঙ্গে দাবি, 'রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি'।

    কী প্রতিক্রিয়া বিজেপির? দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অনন্ত মহারাজ আমাদের একজন নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য। তাঁর বাড়িতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেতেই পারেন। তিনি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।  রাজনীতির বাইরেও তাঁর নির্দিষ্ট প্রভাব আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর মতালম্বী মানুষেরা তাঁর সঙ্গে থাকে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতেই পারেন। আমরা রাজনৈতিক সৌজন্যে মনে করি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেকোনও নির্বাচিত প্রতিনিধির বাড়িতে যেতে পারেন, যেকোনও জন প্রতিনিধির কাছে যেতে পারেন'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)