• পাহাড় দেখার সাধ ছিল মেয়ের! শখপূরণ বাবা-মায়ের হাত ধরে আর বাড়ি ফেরা হল না ৬ বছরের খুদের...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুন ২০২৪
  • রণজয় সিংহ ও প্রদ্যুৎ দাস: মেয়ের শখ ছিল পাহাড় দেখবে। তাই ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ের আবদার মেটাতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন মালদার খেমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যা ছবি মন্ডল। কিন্তু সোমবারের অভিশপ্ত সকাল সব হিসেব উলটপালট করে দিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর ছয় বছরের ছোট্ট মেয়ে স্নেহা মন্ডলের আর বাড়ি ফেরা হল না। স্বামী মহিলাল মন্ডল হাইস্কুলের শিক্ষক। তাই ২দিন ছুটি পেয়ে স্ত্রী ছবি মন্ডল ও তাঁদের ৬ বছরের মেয়ে স্নেহাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মহিলাল মন্ডল। মেয়ের পাহাড় দেখার শখ পূরণ করে সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অসরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। দুর্ঘটনাতে গুরুতর আহত হন মা-মেয়ে-বাবা তিনজন-ই। তিনজনকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন এদিন মৃত্যু হয় ৬ বছরের শিশু স্নেহার। এই ঘটনায় শোকে দিশেহারা মা ছবি মন্ডল। ছোট্ট স্নেহার মৃত্যুসংবাদ গ্রামে পৌঁছনোর পর থেকেই শোকস্তব্ধ গোটা গ্রামও।

    ওদিকে সোমবার ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুসকরার বিউটি বেগমও। সোমবার ইদের আনন্দোৎসবে পরিবারের সঙ্গে সামিল হতে চেয়েই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরেছিলেন বিউটি। আসলে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল হলদিবাড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। কিন্তু সোমবার তা বাতিল থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন তিনি। ট্রেনে উঠে স্বামীকে ফোন করে বলেছিলেন, 'ট্রেন ছেড়েছে, সিট পেয়েছেন।' তার কিছুপর-ই আসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিউটির স্বামী হাসমত শেখ। সেখানে বিউটির খোঁজ না পেয়ে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে বিউটির ছবি দেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের তরফে স্বামী হাসমত শেখকে তাঁর মৃত্য়ুসংবাদ জানানো হয়। পরে হাসপাতালের মর্গে স্ত্রী বিউটির দেহ শনাক্ত করেন স্বামী হাসমত শেখ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)