• কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় আহত ২ ছেলে! ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ২ পরিবার
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি মদনমোহন তলার শৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরা যাত্রী ছিলেন তারা। ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন শৌনক। আহত হন তন্ময়ও।

    দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে। ট্রেন দূর্ঘনার খবর আসে তাদের বাড়িতেও। শৌনকের ভাই সৌভিক গত বছর অল্পের জন্য ট্রেন দূর্ঘটনা থেকে বাঁচে। করমন্ডল এক্সপ্রেসে ফেরার কথা ছিল কিন্তু সে আগের ট্রেনে ফিরে যায়।

    শৌনকের গাড়িতে ফেরার কথা ছিল। ধান কাটার মেশিন দু'দিন রয়ে যাবে বলে ট্রেনে ফিরছিলেন। তার বাবা প্রদীপ সাহা জানান, দূর্ঘটনার খবর পেতেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক। একই কথা তন্ময়ের মা বাসন্তি ঘোষের। ট্রেন দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ রেল কর্তৃপক্ষের। সোমবার সকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাঙাপানি ও নিজবাড়ি রেল স্টেশনের মাঝে নির্মলজোত এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পরে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনটির পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মালবাহী ট্রেন। যার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। গার্ডের বগির ভিতরে ঢুকে যায় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন। এই ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ১০। পাশাপাশি আহত হয় প্রায় ৪০ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালায় রেল কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা স্বাভাবিক করার টানা চলে সংস্কারের কাজ। সোমবার মাঝরাতেই আপলাইন দিয়ে মালগাড়ি চালিয়ে ট্রায়াল রান হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে আপলাইন দিয়ে শতাব্দি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যা গান্ধীধাম এক্সপ্রেস পাস করানো হয়। তবে ডাউন লাইনে এখনো সংস্কারের কাজ চলছে। ওই লাইন দিয়ে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরো বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সুত্রে এই খবর জানা গেছে। রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আর নতুন করে কারোর মৃত্যুর খবর নেই। তবে হাসপাতালে ভর্তী এক শিশুর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর  নজর রেখে চলেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের টিম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তা ডাক্তার সন্দীপ সেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েকটি দেহ গতকাল পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা কিছু রোগী যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর।

    অপরদিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছিলেন দমদম এয়ারপোর্টের কর্মী সঞ্জয় পাল। উনি জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়ার বাসিন্দা। গতকাল জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে জানালেন তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)