• অপদার্থতার চরম নজির, রেলের খাতায় মৃত, মালগাড়ির সহকারী চালক ভর্তি হাসপাতালে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ জুন ২০২৪
  • শিলিগুড়ির কাছে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রথম থেকেই রেলের বিরুদ্ধে উঠে আসছে গাফিলতির অভিযোগ। সেই গাফিলতি যে কতটা সর্বব্যাপী তা টের পাওয়া গেল দুর্ঘটনার পর দিন মঙ্গলবার। এদিন বিকেলে জানা যায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ি সহকারী চালক মনু কুমার জীবিত। যদিও দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন খোদ রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন।

    সোমবার সকাল ৮.৩০ মিনিট নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার শিকার হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শিয়ালদাগামী ট্রেনকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময় রেল লাইনের ওই অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা কাজ করছিল না। ফলে পেপার সিগনালে চলছিল ট্রেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর এই ঘোষণার পর দুর্ঘটনার কারণ কী করে জানা যাবে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়।

    ওদিকে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে জানা যায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়নি। সরাসরি তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীদের কাছে এই খবর পৌঁছনোর পর জানানো হয়েছে, কথা বলার মতো অবস্থায় গেলে মনু কুমারকে জেরা করা হবে।

    প্রশ্ন উঠছে, একে তো রেল চালাতে গিয়ে পদে পদে গাফিলতির প্রমাণ দিচ্ছে রেল। তার ওপর দুর্ঘটনা ঘটলে তার মোকাবিলাতেও ব্যর্থ তারা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার ২ ঘণ্টা পর রেলের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আহত যাত্রীদের সাহায্য করার বদলে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। উদ্ধারকাজ চালিয়েছে স্থানীয় যুবকরা। তার ওপরে খোদ রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের তাঁরই দফতরের জীবিত কর্মীকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়াকে অপদার্থতার চরম নিদর্শন বলে দাবি করছেন অনেকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)