ঠিক এক বছর আগে জুন মাসেই ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা তছনছ করে দিয়েছে তাঁর জীবনটাই। বাঁ পা কাটা গিয়েছে। ডান পায়ের টুকরো হয়ে যাওয়া হাড় অস্ত্রোপচারের পরও আগের অবস্থায় ফেরেনি। সিউড়ি ১ ব্লকের নগরী পঞ্চায়েতের ঝোড়ো-করমশাল গ্রামের বছর চবিশের মহিম ডোমের জীবন এখন কাটে বিছানায়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা ফের উস্কে দিয়েছে তাঁর এক বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি।
গত বছর ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে ঘটেছিল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা।প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯৬ জন। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন সিউড়ি ১ ব্লকের তরতাজা তরুণ মহিম ডোমও। মহিম অন্ধ্রপ্রদেশে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গ্রামে ফিরছলিনেন তিনি। শুধু মহিম নন, দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মহিমের আরও দুই সঙ্গী অনিল ডোম ও লাভলু ডোম। অনিল বেঁচে ফিরেছেন। লাভলু আর ফেরেন নি। মহিম ফিরেছেন পা খুইয়ে।
গ্রামের বাড়িতে বসে মহিম জানালেন, ‘‘ক্ষতিপূরণ বাবদ দু’দফায় মোট সাড়ে চার লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। সেটা চিকিৎসার খরচেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন বৃদ্ধ বাবা, মা আর দাদার সাহায্যে চলছে কোনও রকমে।’’ এখনও মহিমের মনে পড়ে সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। বললেন, ‘‘সেদিন প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেয়ে ছিটকে গিয়েছিলাম ট্রেনের চাকার তলায়। বাঁ পা কাটা গিয়েছিল। ডান-পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল। যন্ত্রণায় কাতরেছি কয়েক ঘণ্টা। উদ্ধার করে আমাকে যখন ওড়িশার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন ভোর চারটে বাজে। তারপর থেকে বিছানায় পড়ে থেকে দিন পেরোচ্ছে।’’
ফের রেল দুর্ঘটনার কথা শুনে মহিম বলছেন, ‘‘কষ্ট সয়ে সয়ে অনুভূতিগুলো শেষ হয়ে গিয়েছে। একটাই কথা মনে হয় যাত্রী সুরক্ষায় রে