রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনে মোহিত সেনগুপ্তকে প্রার্থী করল কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মোহিত ২০১১-২০২১ সাল রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেড় দশকেরও বেশি রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধানের পদ সামলেছেন মোহিত।
এই কেন্দ্রে বামেরা প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। আজ, বুধবার পৃথক ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা মোহিত ও এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর। শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ কবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, তা মঙ্গলবার পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বছর খানেকের মধ্যে মানসকে রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি। এর পরেই সোমবার পারিবারিক, ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে জেলা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্র সামাজিক মাধ্যমে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি শুভম স্যান্যালও একই কারণ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠান। দলের পুরনো কাউকে প্রার্থী না করে মানসকে প্রার্থী করার ঘটনা রায়গঞ্জে বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী মানতে পারছেন না বলে দল সূত্রের দাবি। এই পরিস্থিতিতে, বিক্ষুব্ধদের নিজের সমর্থনে প্রচারে নামাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলছেন মানস। মানস বলেন, “দলীয় বৈঠক হচ্ছে। তার পরে সবাই সব দেখতেই পাবেন।”
এ দিন রায়গঞ্জ শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগরে মন্দিরে পুজো দিয়ে ও দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাসও। কৃষ্ণ বলেন, “রায়গঞ্জ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের সার্বিক উন্নয়ন মাথায় রেখে মানুষ উপ-নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে আমরা আশাবাদী। তৃণমূল ভাল ফল করবে।” মোহিতের বক্তব্য, “উপনির্বাচনে রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ আদর্শহীন দলবদলুদের সমর্থন করবেন না।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও বিজেপির রায়গঞ্জ শহর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমিত দাস পৃথক ভাবে দাবি করেন, উপ নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থীর ‘জমানত’ জব্দ হবে। মোহিতের বক্তব্য, “তৃণমূল ও বিজেপি বহু চেষ্টা করেও আমাকে দলে টানতে পারেনি। কংগ্রেস ও আমার এই আদর্শ ও ‘জমানত’ সারা জীবন রায়গঞ্জের মানুষ অটুট রাখবেন।”