মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের একটি গ্রামের একাংশের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামের কিছু বাসিন্দার গোলমাল থামাতে ঝাড়খণ্ডের পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে বলে দাবি। সেই গুলিতে শমসেরগঞ্জের গ্রাম দক্ষিণ কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা শহিদ শেখ (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শমসেরগঞ্জ ও পাকুড়ের ওই সীমানার দুই গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানান, মঙ্গলবার এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ওই গ্রামে রয়েছেন।’
ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ধুলিয়ানে। তিনি এ দিন বলেন, “সোমবার থেকে গোলমাল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সম্ভবত ঝাড়খণ্ডের পুলিশের ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে শহিদ নামে এক নাবালকের। দু’জন আহত হয়েছেন।”
ঝাড়খণ্ডের গ্রামটির নাম গোপীনাথপুর। দুই রাজ্যের মাঝখানে একটি নদী রয়েছে। গোপীনাথপুরের জেলা পরিষদ সদস্য রংপুস মণ্ডল বলেন, ‘‘সোমবার গোলমাল মিটে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ফের গোলমাল শুরু হয়। পুলিশ গুলি চালালে ওরা পালাতে শুরু করে। শুনেছি, গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও সবাই আতঙ্কে আছি গ্রামে।’’
শহিদের মা আসমিরা বিবির অভিযোগ, “মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ গোলমাল হচ্ছে শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়াতেই ছেলের গায়ে গুলি এসে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে ধুলিয়ান অনুপনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।” বিধায়ক মনিরুল বলেন, ‘‘দুই রাজ্যই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হয়েছে।’’