বুধবার উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এলাকার ঘুম ভেঙেছে পুলিশি উপস্থিতিতে। ভোর থেকে সেখানে দফায় দফায় পুলিশের গাড়ি, লাঠি-বন্দুক হাতে হাজির কর্তারা। বেলা বাড়তেই বেড়েছে প্রহরা। সাধারণ মানুষের আনাগোনায় কড়া বিধিনিষেধ। কিন্তু কেন?
এলাকায় উপস্থিত বাংলার ছবির জনপ্রিয় নায়ক জিৎ। সৌজন্যে নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। আসলে শুটিং চলছে। এর আগে ৩ জুন, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগের দিন নীরজ তাঁর দলবল নিয়ে শ্যামবাজারের মোহনলাল স্ট্রিটে রেকি করতে এসেছিলেন। ছবি-সহ সেই খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এ বার সেখানে শুরু হল শুটিং। তারও ছবি প্রথম প্রকাশিত আনন্দবাজার অনলাইনে।
শুটিং শুরুর দিন তিনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল তোড়জোড়। রাতভর কাজ হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় কিছু বাড়ি রং করে ভোল বদলে হয়েছে রাতারাতি। বেশ কিছু বাড়ির সামনে নতুন সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে টানা তিন দিন শুটিং হবে, খবর ছিল আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। শুটিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি বাড়িতে তখন জিৎ রূপটান নিচ্ছিলেন। নীরজ নিজে উপস্থিত নেই। বদলে তাঁর দলবল পুরো এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তাঁদের এড়িয়ে একটা মাছি গলারও উপায় নেই। তার মধ্যেও আশপাশের বাড়ির বারান্দা, ছাদে উৎসাহী দর্শকের ভিড়। মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। প্রত্যেকেই ঘরের কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। কেবল চোখের দেখা দেখবেন জিৎ-কে!
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর রাস্তায় পা রাখলেন তিনি। পুলিশের ভূমিকায় অভিনয়। শরীরে যে টুকু বাড়তি মেদ সে টুকুও ঝরিয়ে নায়ক আরও ছিপছিপে হয়ে উঠেছেন বোঝ যায়। তাতেই আরও আকর্ষণীয় তিনি। নায়ককে ঘিরে এক দল পুলিশ সহকর্মী। দেখে বোঝার উপায় নেই, তাঁরা নকল! প্রত্যেকের হাতে বড় বন্দুক আর লাঠি। দূরে বাজনা বাজছে। তাকে ঘিরে নাচছে স্থানীয় নারী-পুরুষের দল। জি়তের নজরে তাঁরা। এক মহিলা সহকর্মী এবং বাকি পুলিশদের নিয়ে তিনি হনহনিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে পৌঁছোতেই ‘কাট কাট’ শব্দ। শট দিয়েই হঠাৎ নায়কের নজর আশপাশের বারান্দার দিকে। মহিলা অনুরাগীদের দিকে চোখ পড়তেই হাসিমুখে হাত নাড়ালেন তিনি। খুশির ঝিলিক তাঁদের মুখেও।