• ভিড় এড়াতে বগি বদল, ভাগ্যের জেরে ফিরলেন মৃত্যুমুখ থেকে! এখনও টাটকা সেই অভিজ্ঞতা
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুন ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: রাখে হরি তো মারে কে? ভাগ্যিস এক স্টেশন পরেই ট্রেনের কামরা চেঞ্জ করেছিলেন। ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে উঠেই পরের স্টেশন ময়নাগুড়িতে কামরা চেঞ্জ করেন। ধুপগুড়ি থেকে যেই কামড়ায় উঠেছিলেন সেই কামরাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা। ট্রেনের যে কামরাগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেগুলির মধ্যে একটি যাত্রীবাহী সাধারন কামরায় প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি স্টেশন থেকে উঠেছিলেন তিনি। যদিও ওই কামরায় প্রচুর ভিড় থাকায় ময়নাগুড়ি স্টেশনে পড়েন কামরায় চলে যায় সে। 

    সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়া ১৩১৭৪ ডাউন আগরতলা- শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চেপে মালদায় যাচ্ছিলেন গয়েরকাটা বাসিন্দা ও স্থানীয় এক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মেরামতি সংস্থার ম্যানেজার পদে কর্মরত সমীরন চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করায় লাফ দিয়ে ট্রেনের কামরা থেকে নেমে পড়েন সমীরণ বাবু। তখন চারিদিকে শুধু হাহাকার, চিৎকার ও কান্না। কোনওরকমে নিজের সঙ্গে থাকা আরও তিন সহযোগীকে খুঁজে বের করেন তিনি। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি। এরই মাঝে স্থানীয়দের সঙ্গে উদ্ধারের কাজে সাময়িক হাতও লাগান তিনি। বাড়ি ফিরে সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা নিজে মুখে শোনালেন তিনি। সমীরণ বাবুর সঙ্গে ছিলেন সংস্থার আরও তিন টেকনিশিয়ান। তারা সকলেই ধূপগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সকাল বেলা উঠে বসেন। বগি পরিবর্তন না করলে নির্ঘাত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হত তাদের। যদিও বরাত জোড়ে বগি পরিবর্তন করায় বেঁচে গিয়েছেন তারা। সমীরণ বাবু জানান, ‘ আমরা সকলে ট্রেনে বসে ছিলেন। এনজেপি স্টেশনের পর একটি স্টেশন পার করতেই হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করি। কোনওরকমে নিজেকে বাঁচিয়ে লাফ দিয়ে ট্রেন থেকে নামি। এরপর সামনের কামরাগুলির পরিস্থিতি দেখে চোখে ধাঁধিয়ে যায়। চারদিকে শুধু মানুষের চিৎকার আর কান্না আর রক্তাক্ত দেহ। নিজের সহযোগীদের খুঁজে বের করে নিই। ততক্ষণে স্থানীয় লোকেরা ছুটি চলে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। আমরা চারজন যতটুকু পেরেছি বৃষ্টির মধ্যে ওদের সাহায্য করেছি। এরপর আমরা অজানা একটি জায়গায় প্রায় ১ কিমি পায়ে হেটে বাস ধরে শিলিগুড়ি পৌঁছই। ততক্ষণে খবর পেয়ে বাড়ির লোক ফোন করতে শুরু করেছে।'
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)