• তিস্তা ব্যারেজে পড়ে গেল হস্তিশাবক, লকগেট খুলে বাঁচল প্রাণ ...
    আজকাল | ২০ জুন ২০২৪
  • অতীশ সেন, ডুয়ার্স : তিস্তা ব্যারেজে পড়ে গেল হস্তিশাবক। বিপুল উদ্দাম জলরাশিতে হাবুডুবু খেতে খেতে প্রাণ বাচানোর জন্য আর্তচিৎকার করছিল শাবকটি। লকগেট খুলে দেওয়ায় শাবকটির প্রাণ বাঁচল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায়। জানা গিয়েছে নদী পেরোনোর সময় দলছুট হয়ে জলের স্রোতে একটি হস্তিশাবক ভেসে তিস্তা ব্যারেজের ১৫ নম্বর লকগেটে আটকে গিয়েছিল। জলের প্রবল স্রোতে ঘূর্নীতে পড়ে বাচ্চাটি হাবুডুবু খেতে থাকে। ব্যারেজের উপরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ট্রাক চালক হাতির বাচ্চাটির চিৎকার শুনতে পান। তারা লক গেটের দায়িত্বে থাকা ব্যারেজের কর্মীদের খবর দিলে ওই লকগেটটি খুলে দেওয়া হয়। এতে বাচ্চাটি লকগেটের নিচ দিয়ে ভেসে বেরিয়ে যায় এবং সাঁতরে বাঁধে উঠতে সক্ষম হয়। গত কয়েকদিন ধরে সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় চলা প্রবল বৃষ্টিতে জল বেড়েছে তিস্তা নদীতে। জানা গেছে, তিস্তা ব্যারেজের উজানেই রয়েছে হাতিদের করিডোরে। এই পথ ধরে হাতির দল তিস্তা পেরিয়ে মহানন্দা বনাঞ্চল থেকে ডুয়ার্সের পথে যায়, আবার সেই পথ ধরেই তারা ফেরে। স্থানীয়দের অনুমান মঙ্গলবার রাতেও এভাবেই দলের সাথে নদী পারাপার করতে গিয়ে জলের প্রবল স্রোতে হাতির বাচ্চাটি ভেসে গিয়ে ব্যারেজের লকগেটে আটকে গিয়েছিল। সময় থাকতে লকগেট খুলে দেওয়ায় বাচ্চাটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। স্থানীয়রাই জানান এর পর বাচ্চাটি সাঁতরে বাঁধে উঠে জঙ্গলের দিকে চলে যায়।বর্ষার মরসুমে নদী পারাপার করতে গিয়ে জলের তীব্র স্রোতে হাতি সহ বিভিন্ন বন্যপ্রানীর ভেসে যাওয়া ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে গজলডোবা ব্যারেজে হস্তিশাবকের আটকে যাওয়ার পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ডায়না, জলঢাকা, মূর্তী, নেওড়া সহ বিভিন্ন নদী থেকে হাতি, গন্ডারের শাবক সহ বিভিন্ন জন্তুদের বনকর্মীরা উদ্ধার করেছে। বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য এবার বর্ষার মরসুমে ডুয়ার্সের নদীগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালাবে বন দপ্তর বলে জানা গিয়েছে। বনদপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে গরুমারা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মূর্তী সহ অন্যান্য নদীগুলিতে ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করা হয়েছে। এই কাজে কুনকি হাতিদেরও লাগানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, বর্ষার মরশুমে বন দপ্তরের প্রতিটি রেঞ্জ, বিশেষ করে ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ডগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে। যে এলাকায় নদী রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
  • Link to this news (আজকাল)