সংবাদদাতা বেলদা: কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে ঘটল ধুন্ধুমার কাণ্ড। অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিংকে ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী ও মণ্ডল সভাপতি মৌমিতা সিংহকে হেনস্তার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে বিডিও অফিস চত্বরে দলীয় পতাকা নিয়ে ঢুকে উত্তেজনা ছড়ানো ও মহিলা কর্মাধ্যক্ষদের কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে মঙ্গলবার সরগরম হয়ে ওঠে কেশিয়াড়ি বিডিও অফিস চত্বর। দুই পক্ষই বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে কেশিয়াড়ি থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছিল অর্থ এবং শিশু ও নারী কল্যাণ স্থায়ী সমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকে স্থায়ী সমিতির শাসকদলের সদস্যদের পাশাপাশি যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপির টিকিটে জয়ী বিরোধী দলনেত্রী মৌমিতা সিংহ। অভিযোগ, এই মিটিং শেষ হওয়ার পরে পঞ্চায়েত সমিতি ভবনের ভেতরে বিরোধী দলনেত্রী মৌমিতা সিংহকে হেনস্তা করেন শাসক দলের সদস্যরা। মৌমিতার অভিযোগ, মিটিংয়ে তিনি কেন যোগ দিতে এসেছেন, সেই অভিযোগ তুলে তাকে হেনস্তা করা হয়। আর এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জেলা পরিষদ সদস্য কল্পনা সিট, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম সিট সহ অন্যান্য সদস্যরা। মৌমিতা বলেন, আমি যখন মিটিংয়ে ঢুকতে যাই, আমাকে বাধা দেওয়া হয় এবং কেন আমি মিটিংয়ে এসেছি, সেই অভিযোগ তুলে আমাকে মারধরও করা হয়। বারবার প্রশাসনকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে আমাকে বাড়ি চলে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও এই অভিযোগকে মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবি করেন কল্পনা। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সমিতি ভবনে সুষ্ঠুভাবে বৈঠক চলছিল। বিজেপি সদস্যরা দলীয় পতাকা নিয়ে জোর করে সেই মিটিংয়ে ঢুকতে যান ও মহিলা সদস্যদের কটূক্তি করেন। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। শুধু শুধু প্রচারে আসতে এই ধরনের নাটক করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন শান্তিপূর্ণভাবে দু’টি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠকের শেষে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে। বিজেপি ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিডিও অফিসের সামনে দেখানো হয় বিক্ষোভ। পরে ঘটনাস্থলে কেশিয়াড়ি থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সুষ্ঠু বৈঠকে দলের পতাকা নিয়ে বিডিও অফিসের ভেতরে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর কথা বলে উত্তেজনা তৈরি করছিল বিজেপি। যা কখনওই কাম্য নয়। তবে যদি মারধরের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে সেটাও সঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন নিজের মতো ব্যবস্থা নেবে। কেশিয়াড়িতে আহত বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র