দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ব্লকভিত্তিক বৈঠকে জোর তৃণমূলের
বর্তমান | ২০ জুন ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: লোকসভা ভোটে দল হেরে যাওয়ায় দলের কর্মীরা মনমরা হয়ে পড়েছেন। দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের ব্লকভিত্তিক বৈঠক শুরু হয়েছে। তিনদিন আগে মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক দিয়ে তৃণমূলের এই বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার কুমারগ্রাম ব্লকের বৈঠক হয়েছে। জেলার বাকি ব্লকগুলিতেও পর্যায়ক্রমে দলের বৈঠক হবে।
তৃণমূল নেতৃত্ব লোকসভা ভোটে বিধানসভা ধরে ধরে বিজেপির লিড কমে যাওয়ার ভোকাল টনিক দিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করার কাজে নেমেছে। লোকসভা ভোটে জিতলেও প্রতিটি বিধানসভায় বিজেপির লিড কমে যাওয়ায় ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে তাঁদের দলই যে জিতবে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, লোকসভায় হারলেও জেলার প্রতিটি বিধানসভায় বিজেপির লিড অনেকটাই কমে গিয়েছে। চা বলয়েও বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। ফলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ছাব্বিশের ভোটে জেলার প্রতিটি বিধানসভা আসনেই তৃণমূল জিতবে। ব্লকভিত্তিক বৈঠকে আমরা কর্মীদের সেই কথাই বলছি। লোকসভা ভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইকও বলেন, ছাব্বিশের ভোটে আমরাই জেলার প্রতিটি বিধানসভা আসনে জিতব। এটা বিজেপিও বুঝতে পারছে।
সদ্য লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল মাত্র নাগরাকাটায় লিড পেয়েছে। বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পেয়েছে বিজেপি। তবে ছ’টি বিধানসভা আসনে বিজেপির লিড সামান্যই। আর সেই কারণে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ছাব্বিশের নির্বাচনে জেলার সব বিধানসভা আসনে তাঁদের দলই জিতবে। ব্লকভিত্তিক বৈঠকে বিধানসভার ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্মী-সমর্থকদের সেই কথাই বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কোনও অবস্থাতেই কর্মীরা যেন মনোবল না হারায়।
বিজেপি মাদারিহাটে ১১ হাজার ৬৩, কুমারগ্রামে ৭৬৪১, ফালাকাটায় ৮৯৯৬, কালচিনিতে ১৪ হাজার ৮৬৫, আলিপুরদুয়ারে ২৮ হাজার ৫৬৪ ও তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৪৯৫ ভোটের লিড পেয়েছে। তবে নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ৩৫৪৭ ভোটের লিড পেয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে জিতলেও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁদের লিড সামান্যই। সেই জন্য ছাব্বিশের ভোটে জিততে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।