অর্ণব দাস, বারাকপুর: সুইমিংপুলে সাঁতার শিখতে গিয়ে অঘটন। জলে ডুবে মৃত্যু শিশুর। বারাকপুরের নোনা চন্দনপুকুরে বছর আটেকের শিশুর মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রশিক্ষকের গাফিলতিতেই শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের লোকজনের। প্রশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব অন্যান্য অভিভাবকরা।
প্রতীক বিশ্বাস নামে ওই শিশুটি বারাকপুর নোনা চন্দন পুকুর অ্যাথলেটিক ক্লাবে দু বছর ধরে সাঁতার শেখে। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে সাঁতার শিখতে এসেছিল সে। সাঁতার কাটতে কাটতে হঠাৎই জলে তলিয়ে যায় প্রতীক। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গেলেও প্রতীক যে জল থেকে ওঠেনি তা জানতেনই না প্রশিক্ষক। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তখনই প্রশিক্ষকের টনক নড়ে বলেই দাবি প্রতীকের পরিজনদের।
দেখা যায় জলে ডুবে গিয়েছে শিশুটি। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করা হয়। বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির মৃত্য়ু হয়েছে। প্রতীকের পরিবারের দাবি, প্রশিক্ষকের গাফিলতিতে প্রাণ গিয়েছে শিশুরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সাঁতার শেখাতে আসা অভিভাবকরা প্রশিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান। পথ অবরোধও করেন তাঁরা। খবর পেয়ে টিটাগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অবরোধকারীদের হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, গত মে মাসে সাঁতার শিখতে গিয়ে সল্টলেকের এক কিশোরী প্রাণ হারায়। অন্য সাঁতারু বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সময় জলে ডুবে যায় ওই কিশোরী। সুইমিং পুলে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। প্রাথমিক অনুমান, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার বারাকপুরের ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া। চোখের জল বাঁধ মানছে সদ্য সন্তানহারা পরিজনদের।