পরকীয়ার কাঁটা! সন্দেহের বশে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কোপ মেরে ‘আত্মঘাতী’ স্বামী
প্রতিদিন | ২০ জুন ২০২৪
ধীমান রায়, আউশগ্রাম: স্ত্রী পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েছেন। এই সন্দেহ থেকে প্রায় ছয়মাস আগেই বাড়ি ছেড়েছিলেন স্বামী। কিছুটা দূরে অন্যগ্রামে থাকছিলেন। ছেলেদের সঙ্গেও সম্পর্ক একপ্রকার ছেদ হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকেই চূড়ান্ত মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন সোমনাথ সোরেন। অবশেষে মারাত্মক কাণ্ড ঘটালেন তিনি। রাতের অন্ধকারে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে চপার দিয়ে কোপানোর পর আত্মঘাতী সোমনাথ। মৃত্যু হয়েছে শাশুড়ির। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্ত্রী। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার ছোড়া গ্রাম।
জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের ছোড়া আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা সোমনাথ সোরেন। টিন ও অ্যাসবেসটসের ছাউনির কাজ করতেন তিনি। তার দুই ছেলে বিজয় ও সোমলাল বিবাহিত। ওই পাড়াতেই শ্বশুরবাড়ি সোমনাথের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয়মাস ধরে সোমনাথ বাড়ি ছেড়ে গোপালনগর গ্রামে একাই থাকছিলেন। তার স্ত্রী কাছাকাছি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি। এনিয়ে আদিবাসীপাড়ায় মোড়লদের নিয়ে সালিশি সভাও বসেছিল। কিন্তু সেই বিচার সোমনাথের বিপক্ষেই যায় বলে জানা যায়। অপরদিকে ছেলেরাও মায়ের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর থেকেই সোমনাথ বাড়ি ছেড়ে গোপালনগর গ্রামে একা থাকছিলেন।
জানা গিয়েছে, সোমনাথের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। শাশুড়ির কাছেই ছিলেন স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন চুপিসারে অস্ত্র হাতে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কোপাতে থাকে সোমনাথ। কয়েকজন মহিলা জেগে গেলেও সোমনাথের ভয়ংকর রূপ দেখে কিছু করতেই পারেননি। তার পর রক্তাক্তবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শাশুড়িকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতে পুলিশ খোঁজ করছিল সোমনাথের। এদিন সকালে সোমনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।