জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কোন্দল তুঙ্গে। এবার পালটা নির্দল প্রার্থী দিল বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ভূমিপুত্র নন। তাই তাঁর বদলে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করলেন বিক্ষুব্ধরা।
বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বিনয়কুমার বিশ্বাস। বাড়ি গোপালনগর থানার আকাইপুর এলাকায়। এলাকাটি বনগাঁ উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত। ফলে তিনি বাগদার ভূমিপুত্র নয়। সোমবার প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিজেপির বড় অংশের কর্মী, সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সরব হন। স্থানীয় হেলেঞ্চা হাই স্কুলের মাঠে সভা করে তাঁরা বিজেপি নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হল, এর মধ্যে বহিরাগত প্রার্থী না বদলালে তারা নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাবেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। এর পরেই তাঁরা বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত হয় নির্দল প্রার্থী দেবেন। প্রার্থীও ঠিক করে ফেলেন। সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত করা হয় সত্যজিৎ মজুমদারকে।
পেশায় স্কুল শিক্ষক সত্যজিৎবাবু আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক। বাড়ি বাগদার মালিপোতা এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাগদার ভূমিপুত্র। হেলেঞ্চা এলাকায় তাঁকে নিয়ে মিছিল করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি নেতাকর্মীদের হাতে ছিল দলীয় পতাকা। সত্যজিৎবাবু বলেন, “বহিরাগত প্রার্থীকে দলের নেতাকর্মীরা কেউ মানতে চাইছেন না। আমিও মানতে চাইনি। সে কারণে আমাকে নির্দল প্রার্থী নির্বাচন করেছেন বিজেপি কর্মীরা। আমি তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছি।”
এদিন সকালে বাগদা দুনম্বর মণ্ডলের সভাপতি সমীরকুমার বিশ্বাস দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন | সমীরবাবু কোনিয়ারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি বলে জানিয়েছেন দেবদাসবাবু | তিনি বলেন, “সমীর বিশ্বাস আমাদের দলের একজন দক্ষ সংগঠক। মান অভিমান হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি মিটে যাবে। তাঁর পদত্যাগপত্র আমি এখনও গ্রহণ করিনি।” নির্দল প্রার্থী দাঁড়ানো নিয়ে দেবদাসবাবু বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তবে মানুষ পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখেই ভোট দেবেন।”