বস্তুত, ইমেল এবং হোয়াটসঅ্যাপে যে ইস্তফাপত্র পাঠানো হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে বিজেপির বহিষ্কৃত মণ্ডল সভাপতি তপন কুইল্যার নাম। এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, কিসান মোর্চার সভাপতি, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের নাম আছে। ওই চিঠি গিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ছাড়াও স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য-সহ ১০ জনের কাছে। বেলদা থানার নারায়ণগড়ের বিজেপি নেতাকর্মীরা দল ছাড়তে চেয়ে জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্বদের কাজকর্মে তাঁর হতাশ। শুক্রবার রাতে চকবলি বিজেপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও হয়। তার পরই এই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। নারায়ণগড় দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি তপন বলেন, ‘‘২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নারায়ণগড়-৩ মণ্ডল ভাল ফলাফল করেছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে দুটি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু ভাল ফলাফল সত্ত্বেও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকা কয়েক জন বিজেপি কর্মী, যাঁরা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে হারানো নিয়ে চক্রান্ত করছেন, তাঁদেরই জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত দলের দায়দায়িত্ব দিচ্ছেন।’’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতিকে অপসারণ করে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন কনভেনার নিয়োগ করা হয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন।
অন্য দিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি সুদাম বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করা হয়েছিল। তার জবাব না পাওয়ায় ওই মণ্ডল সভাপতিকে বৃহস্পতিবারই অপসারণ করা হয়েছে। সেখানে কনভেনর করে এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ইস্তফায় দলীয় সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
বিজেপির এই কোন্দলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘বিজেপির জেলা সভাপতি যিনি রয়েছেন, তাঁকে জেলার কেউ চেনেন বলে মনে হয় না। আর বিজেপির মধ্যে কোন্দল তো সবাই জানেন। শুভেন্দু অধিকারী না দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠী দায়িত্ব থাকবে, তা নিয়ে ওঁদের লড়াই চলছেই।’’