আক্রান্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের দাবি, প্রধানশিক্ষকের মদতে তাঁদের উপর আক্রমণ হয়েছে। যদিও প্রধানশিক্ষক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্কুলের ভিতরে আটকে থাকা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্ধার করতে যায় পুলিশ।
এর মধ্যে এক শিক্ষককে মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। আর একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের ‘স্টাফ রুম’-এ শিক্ষিকারা ভীত মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। কয়েক জন শিক্ষিকা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘আমাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।’’ ‘হামলা’র পর কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েক জন শিক্ষিকা। অভিযোগ, তাঁদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ৫০-৬০ জনের একটি দল স্কুলে ঢুকে হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আক্রমণকারীদের কয়েক জন নাকি জানিয়েছেন তাঁরা প্রধানশিক্ষকের কথায় এসেছেন। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘প্রধানশিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য আমরা সামনে এনেছি। উনি পাল্টা চাপ সৃষ্টি করে সেই সব অভিযোগ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’ ওই শিক্ষকের দাবি, ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ‘ভিন্ন’।
প্রধানশিক্ষকের দাবি, তিনি আক্রমণের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন। অন্য দিকে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যে শিক্ষক অভিযুক্ত তিনি স্কুল কামাই করেছেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে আমরা চিঠি দেব।’’ শনিবার সহ-শিক্ষকদের উপর ‘হামলা’র ঘটনাকে ‘জনরোষ’ বলে মন্তব্য করে প্রধানশিক্ষক জানান, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর যা করণীয়, তাই করবেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।