দিন পনেরো হল বরাহনগরের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় কোনও কিছুতে সই করতে পারছেন না। ফলে প্রয়োজনীয় নথিতে বিধায়কের অনুমোদন বা সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘তাপস রায় দলত্যাগ করে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে তার পরেই উপনির্বাচন হওয়ায় স্বস্তি মিলেছিল। এখন ফের নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’
সরকার সূত্রের খবর, বিধানসভা উপনির্বাচনে সদ্যবিজয়ীদের শপথ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শপথের বিষয়ে বিধানসভার পরিষদীয় দফতর থেকে রাজভবনে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও রাজ্যপালের জবাব মেলেনি। তাই সায়ন্তিকা ও ভগবানগোলার নির্বাচিত বিধায়কের শপথের দিন স্থির করা যাচ্ছে না। বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা দুর্ভাগ্যজনক। এসব ক্ষেত্রে রাজ্যপাল স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেন। কিন্তু রাজ্যপাল সেটি নিজে করাতে চাইছেন। তবে কবে হবে, তা জানা যাচ্ছে না।’’
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পান। সে জন্য বিধায়কের শংসাপত্র নিতে এসে তাঁদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। চিকিৎসা, বাসস্থান, স্কলারশিপের জন্যও মিলছে না শংসাপত্র। সায়ন্তিকা বলেন, ‘‘সকলে তো প্রশাসনিক জটিলতা বুঝবেন না। একটা সময়ের পরে ভাবতে পারেন, আমি তাঁদের ঘোরাচ্ছি। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। পরিষেবা দিতেই আমি বরাহনগরে থাকছি।’’