• বন্ধুর বাইক নিয়ে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু
    আনন্দবাজার | ২০ জুন ২০২৪
  • রাতে চা খাওয়ার নাম করে বন্ধুর মোটরবাইক নিয়ে প্রমোদভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। পিছনে বসিয়ে নিয়েছিলেন আরও এক বন্ধুকে। পথে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। যার জেরে রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকার বাঘা যতীন উড়ালপুলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সমীর গায়েন (২০)। বাইকের অপর আরোহী যুবকও আহত হয়েছেন। সমীরের বাড়ি শহিদ কলোনিতে। তাঁর বাইক চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    শহিদ কলোনিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন সমীর। তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। মা পরিচারিকার কাজ করেন। সমীর নিজে ফলস সিলিংয়ের কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পাশের পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। সমীর সেখানে গিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ এক বন্ধুর বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরোন সমীর। আরও তিনটি বাইকে তাঁর কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। রাত ১টা নাগাদ পাটুলি থানা এলাকার বাঘা যতীন উড়ালপুলের উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময়ে আচমকা একটি গাড়ি বাইকের সামনে চলে আসে। তাতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে উড়ালপুলের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে বাইক। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাইকের সামনের অংশ। বাইকের চালক এবং আরোহী, দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। বাকি সঙ্গীরা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সমীরকে মৃত বলে জানান।

    বুধবার শহিদ কলোনিতে সমীরের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, প্রতিবেশীদের জটলা। কেউই কার্যত কথা বলার অবস্থায় নেই। সমীরের এক আত্মীয় বললেন, ‘‘সমীর বাইক চালাতে খুব ভালবাসত। তাই সুযোগ পেলেই বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। কিন্তু সেই বাইকই ওর প্রাণ কাড়ল।’’

    দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ফেটাল বিভাগ। প্রাথমিক ভাবে বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। চালকের মত্ত অবস্থায় থাকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘এ দিন মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)