দিঘা থানা এবং দিঘা মোহনা থানার তরফে ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত প্রচার করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে দিঘা থানার ওসির নেতৃত্বে সমুদ্রতটে নেমে পর্যটকদের সতর্ক করেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। মাইকিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন,‘‘কোনওভাবে কোমর সমান জলের বেশি গভীরে গিয়ে সমুদ্রে স্নান করা যাবে না।’’ যাঁরা বেশি গভীরে চলে গিয়েছিলেন তাঁদের সরিয়ে নিয়ে আসেন নুলিয়ারা।
প্রসঙ্গত, ১৪ মে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটের কাছে স্নান করতে নেবে তলিয়ে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শুভজিৎ দের (১৫)। তারপর ১৬ জুন মন্দারমণিতে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয় বিহারের এক বাসিন্দার। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাস থেকে এ যাবৎ কমপক্ষে ১০ জন পর্যটক সমুদ্র স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও দীর্ঘতর হয়। জেলা পুলিশের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দিঘা এবং মন্দারমনি জুড়ে সমুদ্র স্নানের ব্যাপারে পর্যটকদের সচেতন করা হবে।
সাধারণত প্রতি বছর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর যথেষ্ট উত্তাল থাকে। বারবার নিম্নচাপ এবং কোটালে সমুদ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। তাই এই সময় সমুদ্রে স্নান করতে নেমে পর্যটকেরা যে কোনও সময় বিপদের মুখে পড়তে পারেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার (ড্রাগ অ্যান্ড থেরাপিউটিক) আবুনুর হোসেন বলছেন, ‘‘প্রতি সপ্তাহের শেষে এবং ছুটির দিনে সমুদ্র সৈকত জুড়ে প্রচার অভিযান চালাবে পুলিশ। যে সব জায়গায় স্নানের জন্য ভিড় বেশি হয় সেখানে সিভিল ডিফেন্সের কর্মী, নুলিয়া এবং পুলিশ মিলে মাইক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।’’
যদিও দুর্ঘটনার জন্য সৈকত শহরের স্নানঘাটগুলির দুরাবস্থাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। নিউ দিঘা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তপন কুমার মাইতি বলেন,"পর্যটকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে রাজ্য সরকার। অথচ, স্নানঘাট গুলির সংস্কার হচ্ছে না। দুর্ঘটনা বাড়ছে।’’