• Delhi Pandav Nagar Murder: খুনের পর ১০ টুকরো করে দেহ রাখা হয় ফ্রিজে, পাণ্ডব নগর হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য়
    এই সময় | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের স্বামীকে খুন করে লোপাটের চেষ্টার ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন বলে ধৃত ব্যক্তির স্ত্রী প্রথমে দাবি করলেও, এখন উঠে এসেছে অন্য আরেক তত্ত্ব। সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে এই খুন বলে জেরায় মৃতের স্ত্রী জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। শ্রদ্ধা ওয়াকার নৃশংস খুনের ঘটনায় যখন তদন্ত চলছে, তখন পাণ্ডনগরের এই ঘটনা প্রকাশ্য আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধা ওয়াকরের মতো গত মে মাসেই পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা অঞ্জন দাসকে খুন করে তাঁর স্ত্রী পুনম দাস এবং ছেলে দীপক দাস। খুনের পর অঞ্জনের শরীর ১০ টুকরো করা হয় বলে পুলিশের জেরায় জানিয়েছে পুনম। টুকরোগুলি অন্যত্র ফেলার আগে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল বলে জানায় সে।

    খুনের কারণ নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরেই পুনম ও তার ছেলে অঞ্জনকে খুন করে। প্রথমে অঞ্জনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে জেরার ধৃতরা জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এদিকে, একটি সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনের স্ত্রী পুনম জানিয়েছে, তার স্বামী ছেলের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত। মৃত স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তানের শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করে সে। দীপকই অঞ্জনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে পুনম।

    এদিকে, ডিসিপি ক্রাইম অমিত গোয়েল জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে অঞ্জনের সঙ্গে বিয়ের আগে পুনম আরেকজনকে বিয়ে করেছিল। ২০১৬ সালে প্রথম স্বামী কাল্লু মারা যায়। কাল্লুই ছিল দীপকের বাবা। জেরায় অভিযুক্তরা দাবি করে, দীপকের স্ত্রীর উপর ‘কুনজর’ ছিল অঞ্জনের। সেই কারণেই মা-র সঙ্গে মিলে সৎবাবাকে খুন করে বলে জেরায় স্বীকার করেছে দীপক। গত ৩০ মে দিল্লির এবং পাণ্ডব নগরের একটি নর্দমা থেকে অঞ্জনের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রথমেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। সেই ফুটেজের সূত্র ধরে প্রায় ছ’মাস পর গ্রেফতার করা হয় পুনম এবং দীপক-কে। খুনের পর ছুরি দিয়ে দেহ খণ্ড খণ্ড করা হয় বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

    গত ১৮ মে দিল্লির ছত্তরপুরে নামে এক তরুণীর খুনের ঘটনায় সঙ্গে অদ্ভুত মিল রয়েছে দিল্লির পাণ্ডবনগের ঘটনা। দু’টি ঘটনায় গত মে মাসে ঘটে। দু’টি ক্ষেত্রেই খুনের পর দেহ প্রথমে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ খণ্ড খণ্ড করে অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে, দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
  • Link to this news (এই সময়)