ডায়ালিসিসের পরে বেডে না ফিরে বেরিয়ে যান রোগী, উদ্ধার মৃতদেহ
এই সময় | ২০ জুন ২০২৪
এই সময়, কৃষ্ণনগর: হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী ভোররাতে ডায়ালিসিসের পরে বেডে না ফিরে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। সকালে তাঁর মৃত্যু হলে শোরগোল পড়ে যায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে।ডায়ালিসিস ইউনিটের লোকজন, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে কাকভোরে ওই রোগী কী করে তিনতলা থেকে একা নেমে বাইরে বের হয়ে গেলেন, এই প্রশ্ন তুলে রোগীর আত্মীয়-স্বজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বুধবার।
মৃত ওই যুবকের নাম রাহুল সূত্রধর (২১)। বাড়ি কল্যাণীতে। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ হাসপাতালের সামনের রাস্তায় মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই রোগীকে। উদ্ধার করে ফের হাসপাতালের বেডে দেওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যেই এনকোয়ারি কমিটি গড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
মৃত রাহুলের বাবা হরি সূত্রধর জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়ায় তিন দিন আগে তাঁর ছেলেকে মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ডায়ালিসিসের পরে ওকে বেডে পাঠানো হয়নি। ছেলে তিনতলা থেকে একা নীচে নেমে এলেও জরুরি বিভাগের গেটে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষী কেন তাঁকে দেখতে পেলেন না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বাবা।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় পড়ে ছিল ছেলে। স্থানীয় লোকজন সকালে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বেডে ফেরানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলের মৃত্যুর খবর মেলে।’
রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে এ দিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও। তিনি বলেন, ‘কাকভোরে রোগী তিনতলা থেকে একা নেমে একদম বাইরে চলে গেলেও সেটা দেখতে পেলেন না কোনও নিরাপত্তাকর্মী?’
বিধায়কের সন্দেহ, তিনতলা থেকে নামার সময় সিঁড়িতে কোথাও পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিলেন রোগী। কোনও রকমে উঠে বাইরে বেরিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তা ধরে এগোতে গেলে ফের পড়ে জখম হন তিনি।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘পিপিপি মডেলে চলে ডায়ালিসিস ইউনিটটি। ওই ইউনিটের দু’জন এবং এক জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’