দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় ক্যাফে বন্ধ কৃষ্ণনগরে, জোড়াফুলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
এই সময় | ২০ জুন ২০২৪
এই সময়, কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগরে জলঙ্গি নদীর ধারে পুরসভার গড়া পার্কের মধ্যে ক্যাফে শপটি বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে শহর তৃণমূলের ঘরের দ্বন্দ্ব আবারও সামনে এল। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান রীতা দাসের অনুমতিতে ক্যাফেটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন প্রলয় ভট্টাচার্য নামে এক যুবক। গত শনিবার ক্যাফেটি জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।ক্যাফেটি বন্ধ না করলে ওই যুবককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার পলাশ দাসের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে ভয়ে ক্যাফেটি বন্ধ রেখেছেন প্রলয়। পুরপ্রধানের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন, ক্যাফেটি চালু রাখতে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নাহলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁকে।
এ দিকে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার পলাশ দাস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘ওই যুবকের সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি। পুরপ্রধান গোপনে দরপত্র ডেকে ওই যুবককে ক্যাফে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। কেন বেনিয়ম, তা নিয়ে কোনও জবাব দেননি পুরপ্রধান। তাই বেনিয়মে চলা ক্যাফেটি বন্ধ রাখতে বলেছি।’
এ দিকে পুরপ্রধান রীতা দাসের বক্তব্য, বিধি মেনে রীতিমতো দরপত্র ডেকে ক্যাফেটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রলয়কে। জোর করে ক্যাফে শপটি বন্ধ করা হয়েছে। আমি তো সেখানে সব সময় পাহারা দিতে পারব না। তাই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ঘটনা জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছি।’
কৃষ্ণনগর পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড। বেশির ভাগ কাউন্সিলর তৃণমূলের হলেও লোকসভা ভোটে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে পিছিয়ে থেকেছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগর লোকসভায় সার্বিকভাবে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও কৃষ্ণনগর শহরে কেন এমন ফল, সে প্রশ্নে এমনিতেই বিব্রত তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। কারণ ভোটের আগে পুরএলাকায় এবার প্রচারে বাড়তি নজর দিয়েছিলেন মহুয়া।
একদম ওয়ার্ড ধরে ধরে ‘মুখোমুখি মহুয়া’ নামে সভা করে এলাকার সমস্যা শুনেছিলেন। তাতে দলীয় কর্মী সমর্থক ও বাসিন্দাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও দলীয় ওয়ার্ড নেতাদের হাজিরাও ছিল। কিন্তু শহরের ভোটের ফল কেন এমন হলো, সে প্রশ্নে তৃণমূলের স্থানীয় একাধিক নেতার মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। এর পরে আবার জলঙ্গির ধারের পুরসভা পার্কের ক্যাফে শপ বন্ধ করা নিয়ে আবারও ঘরের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। এর পরে আবার জলঙ্গির ধারের পুরসভা পার্কের ক্যাফে শপ বন্ধ করা নিয়ে আবারও ঘরের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।