কোচবিহারে পরাজয়ের পরেই বিজেপিতে ভাঙন, পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল
এই সময় | ২০ জুন ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারে হেরেছে বিজেপি। আর তারপরেই ভাঙন শুরু গেরুয়া শিবিরে। এবার কোচবিহারের ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ ১০ পঞ্চায়েত সদস্য নবনির্বাচিত সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার হাত ধরে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। অপরদিকে এদিনই জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে মাথাভাঙা ২ ব্লকের পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পূর্ণিমা বর্মন সহ ৩ পঞ্চায়েত সদস্যও তৃণমূলে যোগ দেন।এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'অনেকেই লাইনে আছে। আমরা বাছাই করে নিচ্ছি।' অন্যদিকে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, 'ওরা জোর করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াচ্ছে। এসব করে লাভ হবে না।' প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিজেপির দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে অশান্তি শুরু হয়। বিজেপির দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কোনওটায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়, তো কোথাও আবার লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের ঝান্ডা। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এরপরেই শুক্রবার জেলার দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েতে দলবদলের ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিঙ্কি রায় সরকার বলেন, 'মানুষ তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেটাকে মান্যতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে এদিন আমি সহ ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলাম।' অন্যদিকে পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পূর্ণিমা বর্মন বলেন, 'মানুষের কাজ করার জন্যই আমরা যোগ দিলাম তৃণমূলে।'
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে হারে ঘাসফুল শিবির। এবার সেই আসন পুবনরুদ্ধারই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। যার জন্য তৃণমূলের তরফে বেছে নেওয়া জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে। আর তার সুফলও পাওয়া যায়। গণনা শুরু হতেই এগোতে থাকে তৃণমূল। মাঝে একটি রাউন্ড ছাড়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, প্রায় গোটা গণনা পর্বেই এগিয়ে ছিলেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। আর শেষ হাসিও ফোটে তাঁরই মুখে। এবার সেই ফলাফলের পরেই কোচবিহার বিজেপিতে দেখা গেল বড়সড় ভাঙন।