এই খরচের ৫০ শতাংশ রাজস্ব যাবে সরাসরি পরিবহণ দফতরের কাছে। আর বাকি অংশ থাকবে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে। ঘটনাচক্রে, আগের পদ্ধতিতে ধোঁয়া পরীক্ষায় কোনও রকম রাজস্ব আসত না পরিবহণ দফতরের কাছে। কিন্তু নতুন এই ব্যবস্থা রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি কারচুপিও বন্ধ করার পক্ষপাতী পরিবহণ দফতর। তাই ন্যাশনাল ইনফরমটিক্স সেন্টার (এনআইসি)-এর প্রযুক্তি কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই পদ্ধতিতে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে একটি বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপলোড করে দিতে হবে। সঙ্গে গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার সময় গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি, গাড়ির ছবি এবং ধোঁয়া পরীক্ষার ভিডিয়ো ওই অ্যাপে আপলোড করে দিতে হবে।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, কেবলমাত্র রাজস্ব আদায়ের জন্য পরিবহণ দফতর এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। বহু ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পরিবহণ দফতরে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ছিল। সেই সমস্যার নিরসন করতে নতুন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়ে গাড়ি থেকে হওয়া দূষণ রোধ করতে চায় রাজ্য সরকার। যে কারণে নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি গাড়িগুলির ওপরেও নজরদারি করবে পরিবহণ দফতর। কোনও ক্ষেত্রে ত্রুটি বা গাফিলতি ধরা পড়লে যাতে সহজেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই জন্যই এই নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে।