মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে থাকা কাঠের এই বাংলোটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বাংলো। কীভাবে আগুন লাগলো? ঠিক কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, ১৫ জুন থেকে তিন মাসের জন্য রাজ্যের সংরক্ষিত সব বনাঞ্চল বন্ধ হয়ে। এই অবস্থায় পর্যটকহীন ছিল আট কামরার দ্বিতল ঐতিহ্য সম্পন্ন বন বাংলোটি। ফলে সেখানে খুব বেশি বিদ্যুতের ব্যবহারও হচ্ছিল না। তাহলে রাতের বজ্রবিদ্যুতের জেরেই শর্ট সার্কিটের ঘটনা হলং বাংলোতে? সত্যি জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বুধবারই কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন।
তার পর বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া যান রাজ্যের মুখ্যপাল দেবল রায়। তিনি এদিন জানালেন, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই কাণ্ড। তিনি বলেন, “শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছে। ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্ৰহ করেছে। এই বাংলো দেখার জন্য তিনজন কর্মী রয়েছে। ঘটনার দিন দু’জন রেঞ্জ অফিসার ছিলেন। তারা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাংলো রক্ষা করতে পারেননি। কারণ, বাংলোর ঘর বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে রেঞ্জ অফিসাররা দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন।”