ভদ্রেশ্বরের নিখোঁজ শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা
প্রতিদিন | ২০ জুন ২০২৪
সুমন করাতি, হুগলি: বারাসতের কাজিপাড়ায় বালক খুনের ঘটনায় এখনও ধরপাকড় চলছে। তারই মাঝে এবার হুগলির ভদ্রেশ্বরে উত্তেজনা। অবশেষে উদ্ধার হল নিখোঁজ খুদের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ চাঁপদানির খুড়িগাছি মল্লিহাটির ঘুঙির খাল থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। খুন নাকি অন্য কিছু, কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরাধ্যা রাম নামে ওই শিশুর মা বিউটিশিয়ান কোর্স করেন। সে কারণে হুগলির ভদ্রেশ্বরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব বাগানে মামার বাড়িতে তাঁকে রেখে যেতেন। তবে মঙ্গলবার বাড়িতেই ছিলেন শিশুর মা মণীষা রাম। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে পাশের বাড়ির মেয়েটার সঙ্গে খেলছিল। ৫টা নাগাদ আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল। আবার বাড়িও দিয়ে যায়। আমি মেয়েকে খাইয়ে, জামা ও জুতো পরিয়ে দিই। এর পর মেয়ে আবার পাশের বাড়ির দিকে যায়। আমি আর খেয়াল করিনি। ভেবেছি পাশের বাড়ির মেয়েটার কাছেই গিয়েছে। পরে ৮টা-সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন জিজ্ঞাসা করলাম, তখন বলল ওখানে যায়নি। তার পর খোঁজাখুঁজি শুরু করি।”
পুলিশের দ্বারস্থ হয় নিখোঁজ শিশুর পরিবার। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশিও শুরু করে পুলিশ। বুধবার এলাকার ঝোপঝাড়, জলাশয়েও তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সাহেব বাগানে তদন্তে যান পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাগালভি। সঙ্গে ছিলেন ডিসিপি হেডকোয়ার্টার, এসিপি ওয়ান, ভদ্রেশ্বর থানার আইসি ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। দুপুর ১টা নাগাদ খবর পৌঁছয় চাঁপদানির খুড়িগাছি মল্লিহাটির ঘুঙির খাল থেকে একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় এক যুবক খালের মধ্যে দেখতে পায় শিশুর মৃতদেহ আটকে রয়েছে। খবর পেয়ে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ শনাক্ত করে শিশুর বাবা ভিকি রাম। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কীভাবে ওই শিশুর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ কমিশনার জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। শিশুর পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে পুলিশ।