পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বান্টি মণ্ডল দাস (২৬)। প্রায় ১১ বছর আগে ক্যানিংয়ের তালদি পঞ্চায়েতের ট্যাংরাখালির কাঁকড়াদহের দাসপাড়ার বাসিন্দা বান্টির সঙ্গে বিয়ে হয় তালদি পঞ্চায়েতের পূর্ব খাসকুমড়োখালির মধ্যপাড়ার নারদ মণ্ডলের। দম্পতির ৯ বছরের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
মৃতার বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত ওই বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী। দিনের পর দিন মেয়ের উপর মাত্রাছাড়া অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে, জামাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন বধূর মা বিপাশা দাস।
মৃতার মা বিপাশা দাস জানান, এদিন সকালে জামাই তাঁদের ফোন করে জানান বান্টি অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে এসে দেখেন, মেয়ের দেহ ভ্যানের উপর পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ওরা বলছে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ও যদি আত্মহত্যাই করে থাকে তাহলে, জামাই-সহ শ্বশুর বাড়ির লোক দেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন কেন? জামাইয়ের কঠোরতম শাস্তির চাই।” দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে, তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।