• নরেন্দ্রনাথকে মেয়রের মুখ করে দুর্গাপুরে নামছে TMC, লক্ষ্য শহরের হারা ওয়ার্ড জয়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুন ২০২৪
  • পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে এবার দুর্গাপুর পুরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী করতে চায় তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে নরেন্দ্রনাথকে মেয়র প্রজেক্ট করে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে।

    নরেন্দ্রনাথের প্রতি দলের আস্থা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে কীর্তি আজাদকে জেতানোর দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। দুই প্রার্থীই ভালো মার্জিনে জয়ী হয়েছেন। বিশেষ করে শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ে নরেন্দ্রনাথের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নজর কেড়েছে। প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে নরেন্দ্রনাথ বহুবার মানুষের দোরে গিয়ে ভোট চেয়েছেন, যা দলের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।

    এবার, তৃণমূলের নতুন পার্টি অফিস দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোনের অরবিন্দ রোডে ৭/১ নম্বর কোয়ার্টারে। সেই ঠিকানাতেই নরেন্দ্রনাথের নতুন ভোটারকার্ডের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘দল এখনও পর্যন্ত যা দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আগামী দিনেও করব।’

    তবে নরেন্দ্রনাথ জানেন, পুরসভা নির্বাচনে জয় সহজে আসবে না। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১০টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বাকি ৩৩টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে নরেন্দ্রনাথকে কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

    তবে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘পুর নির্বাচনে বিরোধীরা কোনও ফ্যাক্টর হবে না। লোকসভা নির্বাচনের ফল থেকেই পরিষ্কার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। তাছাড়া দুর্গাপুরের দু'টি কেন্দ্র মিলিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লিড ছিল প্রায় ৭৬ হাজার ভোট। এবার সেই ব্যবধান অনেকটাই কমে গিয়েছে।’

    দুর্গাপুরের রাজনৈতিক ইতিহাসও পরিবর্তনের সাক্ষী। কিছু বছর আগেও দুর্গাপুর ছিল বাম দুর্গ। এমনকি তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছে সিপিএম। কিন্তু সম্প্রতি সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের তৃণমূলে যোগদান রাজনৈতিক পরিবেশে বড় পরিবর্তন এনেছে। ফলে সিপিএমের লড়াই এবার অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুরভোটের টিকিট প্রাপকদের তালিকায় দেখা যেতে পারে পঙ্কজ রায় সরকারের নাম। এছাড়াও, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দুর্গাপুরে এসে কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা পুর নির্বাচনে টিকিট পাবেন না। ফলে এবারের নির্বাচনে একাধিক নতুন মুখ এবং কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তিও টিকিট পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    নতুন দায়িত্বে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দেখতে পাওয়া যাবে দুর্গাপুর পুরসভা নির্বাচনে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কিভাবে তার দক্ষতায় দুর্গাপুর পুরসভায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে পারেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)