কিন্তু এখনও পর্যন্ত জামিন পাননি তিনি। সপ্তাহখানেক আগেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতের লেখা পরীক্ষা করতে চেয়ে নিম্নআদালতে ( সিটি সেশন) আবেদন করে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ‘গ্রেফতারের পর এসএসকেএম হাসপাতালে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে লেখা একটি চিঠি মেয়েকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই চিঠিতে শাহজাহান এবং শঙ্কর আঢ্যর নাম লেখা ছিল। এই চিঠির সন্ধান পাওয়ার পরই ওই দুজনের বাড়িতে করা হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই চিঠির কথা আপাতত স্বীকার করে নিলেও পরে তিনি বয়ান পাল্টাতে পারেন। এমন আশঙ্কায় তাঁর হাতের লেখা পরীক্ষা করাতে চাইছে ইডি।বর্তমানে শাহজাহান এবং শঙ্কর আঢ্য দুজনেই রেশন দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি একযোগে উত্তর ২৪ পরগনার দুই জায়গায় হানা দেয় ইডি।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও বনগাঁতে শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে যায় আধিকারিকরা। শাহজাহানকে না পেলেও শঙ্করকে বাড়িতেই পেয়েছিল ইডি। দিনভর জেরা ও তল্লাশি অভিযানের পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনার প্রায় দু মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। কলকাতা হাইকোর্টে আগামী ২৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।