বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাতই ডেকে আনল বিপদ, রাজ্যে প্রাণ গেল অন্তত ২ জনের
প্রতিদিন | ২১ জুন ২০২৪
সম্যক খান, মেদিনীপুর: তীব্র দাবদাহের পর রাজ্যে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে সেই বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাত ডেকে আনল বিপদ। প্রাণ গেল অন্তত দুজনের। একজন গড়বেতার। অন্যজন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিরা হলেন যথাক্রমে তারাপদ মাইতি(৩৮) ও লক্ষ্মীরাম বেশরা। দুজনই মাঠে চাষের কাজ করছিলেন। গড়বেতার আমকোপা অঞ্চলের নেপুরা গ্রামে বাড়ি তারাপদবাবুর। তিনি এদিন তিলখেতে কাজ করছিলেন। আর অপরজন লক্ষ্মীরাম বেশরার বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাচরায়। তিনি ধানের বীজতলা ফেলার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। দুপুরে আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং বিহারের কিছু অংশে পৌঁছে গিয়েছে।
আগামী দু-তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে পৌঁছে যাবে বর্ষা। তার ফলে আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ সব জেলা। তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। রবিবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। হাওয়া অফিসের তরফে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনি এবং রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। গত ২৪ ঘন্টায় তুফানগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ২০২.৪ মিলিমিটার। কোচবিহারে ১৩৬ মিলিমিটার এবং গঙ্গারামপুরে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসতে এতদিন সময় লাগেনি। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের চারদিন পর বর্ষা ঢুকেছিল দক্ষিণবঙ্গে। ২০২০ সালে ১২ জুন একই দিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। ২০২১ সালে উত্তরবঙ্গের পাঁচ দিন পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। ২০২২ সালে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার পার্থক্য ছিল ১৫ দিন। ২০২৩ সালে ১২ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে ১৯ জুন। অর্থাৎ পার্থক্য ৭ দিনের। ২০২৪ সালে ৩১ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। তবে কুড়ি দিন কেটে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও আসেনি।