ঘটনাটি চন্দ্রকোনা থানার ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিন্যা গ্রামের। মৃতের নাম চঞ্চল দাস (৪৫)। তিনি পেশায় কৃষক। বাড়ির পাশেই জমিতে বাদাম চাষ করতেন তিনি। তাঁর ভাই বাপন দাস বলেন, ‘‘বৃষ্টি পড়ছিল। সঙ্গে বাজও পড়ছিল। বাড়ি থেকে একটু দূরে মাঠে থাকা বাদাম জড়ো করতে গিয়েছিল দাদা। সে সময়ে বাজ পড়ে। দাদা মাঠেই পড়ে যায়।’’
কৃষক একাই মাঠে গিয়েছিলেন। তাই তিনি যে বজ্রাঘাতে জখম হয়েছেন, তা জানতেও পারেননি কেউ। বেশ কিছু ক্ষণ পর মাঠে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের লোকজন। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। মৃত কৃষকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তারা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। আপাতত দেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। কৃষকের এই আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার জুড়ে হাহাকার। গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি নেমেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। গত কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল ছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। প্রতি দিনই হাওয়া অফিসের তরফে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টি আসি আসি করেও আসেনি। বৃহস্পতিবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলির পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরেও বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির সেই বৃষ্টিই কাল হল চন্দ্রকোনায়।