তাই চিদম্বরের মতো শীর্ষ নেতাকে মমতার মত দাপুটে নেত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন সানিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীরা, এমনটাই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের। তাঁদের আরও ব্যাখ্যা, ৯৯ সাংসদ নিয়ে সংসদে শক্তিশালী হয়েছে কংগ্রেস। এমন মোক্ষম সময়ে যদি তৃণমূলের মত জোট ইন্ডিয়ার শরিককে পাশে নিয়ে আক্রমণ শানানো যায়, তা হলে বহু ক্ষেত্রে বিপাকে ফেলা যাবে বিজেপিকে। কারণ কংগ্রেসের মতই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়েছেন মমতা। বাংলায় ১৮ থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা ১২-য় নামিয়ে এনেছে তৃণমূল। তাই জোট ইন্ডিয়ার শরিক সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব), আরজেডি-সহ তৃণমূলকে পাশে পেতে কংগ্রেস অনেক আগে থেকে উদ্যোগ শুরু করেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে মমতা-চিদম্বরম বৈঠক প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন এক অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘চিদম্বরম কলকাতা এসেছেন এমন কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।’’ তবে, প্রদেশ কংগ্রেসকে না জানিয়ে মমত-চিদম্বরমের এই বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ব্যাখ্যা, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস মমতার হাত ধরতে নারাজ, বরং তারা মমতার ‘জাতশত্রু’ সিপিএমের সঙ্গে জোট করেই পথ চলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে সেই জোট ব্যর্থ হলেও, তৃণমূলের সঙ্গী হতে নারাজ বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই বিধান ভবনকে না জানিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে মমতার এই সাক্ষাৎ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন চলবে আট দিন। শেষ হবে ৩ জুলাই। লোকসভার স্পিকারের নির্বাচন হতে পারে ২৬ জুন। আগামী ২৪ এবং ২৫ জুন লোকসভা নির্বাচনে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সাংসদ হিসাবে শপথ নেবেন। ওই সময়ে কংগ্রেস লোকসভার বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করতে পারে বলেও এআইসিসি সূত্রের খবর। দলের তরফে রাহুলকে বিরোধী দলনেতার হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজি হলে অধিবেশনের শুরু থেকেই মোদী বনাম রাহুলের দ্বৈরথ দেখা যেতে পারে সংসদে।