মৌসম ভবন জানিয়েছে, বিদর্ভ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের আরও কিছু অংশ এবং বিহারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। বর্ষার উত্তর অংশ অমরাবতী, গোণ্ডিয়া, দুর্গ, রামপুর (কালাহান্ডি), মালদহ, ভাগলপুর, রক্সৌলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আগামী তিন-চার দিনে উত্তর আরব সাগর, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের আরও কিছু অংশে বর্ষা প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ওই একই সময়ে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের বাকি অংশ, ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশ, বিহার এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের আরও কিছু অংশে পৌঁছতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
৩১ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। তার পর থেকে ভাসছে উত্তর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হচ্ছে সেখানে। অথচ দক্ষিণ শুষ্কই। বুধবার হাওয়া অফিস যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তাতে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কথা ছিল। তার আগে দু’এক দিন প্রাক্-বর্ষার বৃষ্টি নামার কথা ছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সেই বৃষ্টি নামেনি। উল্টে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। ভ্যাপসা গরম আরও অসহনীয় হয়েছে। বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা-সহ দক্ষিণের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও কমেনি গুমোট ভাব। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরে বর্ষা এগোলেও দক্ষিণে আসতে আরও দুই থেকে তিন দিন।