দক্ষিণবঙ্গের দুয়ারে টোকা দিচ্ছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই শুরু হয়ে গেছে প্রাক বর্ষা বৃষ্টিপাত। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ লগ্নে এসে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে এখনই দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিনটি জেলায়।
কলকাতায় বৃষ্টির আপডেট
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রাও অনেকটা কমেছে। শুক্রবার শহরে রোদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। রাতের তাপমাত্রাও অনেকটা কমেছে। এদিন তা আরও কমার সম্ভাবনা।শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৮ ডিগ্রি বেশি এবং শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের আপডেট
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার পর দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং লাগোয়া রাজ্য বিহারের কিছু অংশে পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণের বাকি অংশ এবং পশ্চিমের জেলায় ৪৮ ঘণ্টায় পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে মৌসুমী বায়ু। আগামী দু'তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে পৌঁছবে বর্ষা।
গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের ক্ষেত্রে এই বছরের মতো সময় লাগেনি। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের চারদিন পর বর্ষা প্রবেশ করেছিল দক্ষিণবঙ্গে। ২০২০ সালে ১২ জুন একইদিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। ২০২১ সালে উত্তরবঙ্গের পাঁচ দিন পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। ২০২২ সালে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার মধ্যে সময়ের তফাত ছিল ১৫ দিন। গত বছর উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে ১২ জুন এবং দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে ১৯ জুন
সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা সহ সব জেলাতেই দিনের বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। ২৩ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। কমবে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
উত্তরবঙ্গে তিনটি জেলা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।