লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে হুগলির দইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে শোনা গিয়েছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন এই তৃণমূল প্রার্থী। এবার সিঙ্গুরের দইকে বিশ্ব বিখ্যাত করার অঙ্গীকার করলেন তিনি।ডাকাত কালীর মন্দিরে পুজো দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন রচনা। জয়ী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সেই মন্দিরেই এলেন তিনি। সেখানে এসেই হুগলির দই নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন এই তারকা রাজনীতিক। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভাবনীয় জয় হয়েছে। ঠাকুরের আশীর্বাদ ছাড়া জীবনে যে কোনও কিছুই সম্ভব নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। আগামীদিনে যাতে মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে পারি সেই কারণে ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম। সিঙ্গুর দিদির আন্দোলনের জায়গা। তা দিদিকে উপহার দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি।'
পাশাপাশি প্রচারে তাঁকে নিয়ে হওয়া মিম প্রসঙ্গেও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন রচনা। তিনি বলেন, 'রাইস মিলের ধোঁয়া বিখ্যাত হয়েছিল, দই নিয়ে মন্তব্য বিখ্যাত হয়েছিল। তাই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন। আর সিঙ্গুরের দইকে আমি পৃথিবী বিখ্যাত করব।'
উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে সিঙ্গুরে বেড়াবেড়িতে দিনমজুর মানিক বাগের বাড়িতে ভোজ সারেন রচনা। তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত,বড়ি ভাজা,পটল ভাজা, শুক্তো, ভেজ ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি ও টক দই। সেই সময়ই সিঙ্গুরের দইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন রচনা। তিনি বলেন, 'এখানে এত ভালো দই পাওয়া যায়, ভাবছি বাড়িতে নিয়ে যাব। যতবার এখানে আসব ততবার দই নিয়ে যাব। সিঙ্গুরে এত ঘাস, গাছ। সেগুলো গোরু খাচ্ছে এবং হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে তার যে দুধটা পাওয়া যাচ্ছে তা এতটা ভালো যে দইটাও ভালো হচ্ছে তাতে।’
তাঁর এই মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোটাই 'স্পোর্টিংলি' নিয়েছিলেন। যে কোনও ধরনের প্রচারেই লাভ হয়, তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি সরল বিশ্বাসে তিনি মন্তব্য করেছেন, এই নিয়ে রাগারাগি অপ্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য ছিল তাঁর।
এদিকে ফলাফলে দেখা যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এরপর বিজেপির প্রার্থীকে এক হাঁড়ি দই পাঠিয়ে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।