বৃহস্পতিবার খড়্গপুর আইআইটির প্রধান গেটের বাইরে ওই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত হয় খড়্গপুর জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে। শহরের একাংশ বাসিন্দাই তাতে ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরে আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র অসমের তিনসুকিয়ার ফয়জান আহমেদের পচাগলা মৃতদেহ। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পরে তদন্ত কমিটি গড়ে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সম্প্রতি সেই কমিটির তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে, ফয়জানকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল আইআইটিতে। শুধু ফয়জান নয়, গতবছর জুনে ও অক্টোবরে আইআইটিতে আরও দুই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত সোমবার আবার বায়োটেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী কেরলের দেবিকা পিল্লাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সরোজিনী নায়ডু হলের(হস্টেল) বাইরে ছাদের কার্নিশে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও হলের বাইরে হওয়া এমন ঘটনা কেন নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসেনি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এ দিনের বিক্ষোভে।
খড়্গপুর জাগরণ মঞ্চের অভিযোগ, আইআইটি তাদের একাধিক গেট বন্ধ করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ করে তুলেছে। যদিও আইআইটির ভিতরে একাধিক ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, গ্যাস গুদাম, স্কুল, দোকানপাট আছে। সেখানে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের ঢোকা-বেরোনোতেও নজরদারি চালানো হয়। অথচ পড়ুয়াদের মৃত্যু মিছিল ঠেকাতেই ব্যর্থ তারা। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা আয়ুব আলি বলেন, “আইআইটি কর্তৃপক্ষ খড়্গপুর শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীর মতো আচরণ করেন। প্রয়োজন থাকলেও আইআইটিতে ঢোকা যায়ন না। একাধিক গেট বন্ধ করে রেখেছে। এত বজ্র আঁটুনি সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কৃতী পড়ুয়াদের মৃত্যু মিছিল চলছে আইআইটিতে।”