হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা অখিলের বিরুদ্ধে কল্যাণীর কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে নানা অনিয়মে যুক্ত থাকার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই উঠছিল। গত বছরই হাউস স্টাফদের একাংশ স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ করেন যে অখিল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ এক মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় বার হাউস স্টাফ হওয়ার সুযোগ দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন।
ইতিমধ্যে চণ্ডীতলা থানায় সাইনবোর্ড ও লিফলেটে ‘এমডি’ ডিগ্রি লেখার অভিযোগ দায়ের হয়েছে অখিলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে থানা সূত্রে জানানো হয়, অখিলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বুধবারই ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪১ নম্বর ধারায় তদন্তের জন্য অখিলকে ডেকে পাঠানো হয়। প্রতারণার প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
জেএনএমের হাউস স্টাফদের একাংশের দাবি, কারা হাউস স্টাফ হওয়ার সুযোগ পাবে তা কার্যত অখিলই ঠিক করেন। হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী অংশেরও এতে ইন্ধন রয়েছে। আগে দু’এক জন পড়ুয়া প্রতিবাদ করতে গিয়ে অখিলের রোষের মুখে পড়েছেন। গত বছর পর্যন্ত হাসপাতাল সুপারই হাউস স্টাফ নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন সুপার সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “অখিলদের দ্বিতীয় বার হাউস স্টাফ করতে না চাওয়ায় প্রবল চাপে পড়তে হয়েছিল। ওদের সুযোগ দিতে বাধ্য হই।”
এ দিন ফোন করা হলেও অখিল ধরেননি। কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “সব নিয়ম মেনেই হয়েছে।”