স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে কয়েক জনের সঙ্গে জুয়া খেলছিল তারা। তখন রেজাউল ৮০০ টাকা ধার নেন কবিরুলের কাছ থেকে। দু’দিন ধরে সেই ধারের টাকার তাগাদা দিচ্ছিল কবিরুল।বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা নাগাদ কবিরুল সেই বকেয়া টাকা চাইতে পাশেই রেজাউলের বাড়িতে যায়। বাড়ির দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল রেজাউল ও তার স্ত্রী জলি। কবিরুল টাকা চাইতেই দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।তখন রেজাউলের কাছে থাকা একটি ছুরি বের করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কবিরুলের পেটে বসিয়ে দেয়। স্ত্রী জলি কবিরুলকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন কবিরুলের উপর এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে রেজাউল।
খবর পেয়ে থানা থেকে ছুটে যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে পালিয়েছে রেজাউল ও তার স্ত্রী। প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় কবিরুলকে মহেশাইল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিকে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত তখনই সুতি থানায় গিয়ে হাজির হয় অভিযুক্ত রেজাউল ও তার স্ত্রী জলি। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
মৃতের ভাইপো সুরজ শেখ বলেন, “আমরা অনেকেই বাড়ির উপরের ঘরে ছিলাম। চিৎকার শুনে ছুটে যাই। দেখি কাকা কবিরুল মাটিতে পড়ে আছে।জুয়া খেলার সময় দেওয়া ধারের ৮০০ টাকা আদায় করতে এ দিন কাকা রেজাউলের বাড়িতে গিয়েছিল। তখনই হঠাৎ কাকাকে ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে রেজাউল। পাশেই দাঁড়িয়ে স্ত্রী তাকে ছুরি মারতে সাহায্য করে। আমরা যখন সেখানে ছুটে যাই তারা তখন সেখান থেকে পালিয়েছে। পরে জানতে পারি তারা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। এই ভাবে প্রকাশ্য দিনের বেলায় যেভাবে খুন করা হয়েছে সামান্য ৮০০ টাকার জন্য, তাতে দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।”
এলাকায় জুয়ার রমরমা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।