অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন ওই এসওপি-তে কিছু সংশোধন ও পরিমার্জন করতে পারে। ওরা সিলমোহর দিলে আগামী দিনে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এই এসওপি মেনে কাজ হতে পারে।’’ দানে পাওয়া দেহের বিষয়ে অ্যানাটমি, ফরেন্সিক মেডিসিন ও শল্য বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে অডিট কমিটি গড়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল। কমিটির সুপারিশ মতো তৈরি হয়েছে এসওপি।
দেহ দানের সময়ে ডেথ সার্টিফিকেট, অঙ্গীকারপত্র এবং পরিজনদের সম্মতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করতে হবে। দেহ গ্রহণ করে পরিবারকে শংসাপত্র দিতে হবে। দেহে নির্দিষ্ট লেবেল ও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দিয়ে সেটি রেজিস্টারে তুলতে হবে। দেহটি ব্যবচ্ছেদ না গবেষণা, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তারও রেকর্ড রাখতে হবে। অনেক সময়ে ভিসেরাও সংরক্ষণ করা হয় পঠনপাঠনের জন্য। তা করতে হলেও নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম মতো ১০ জন পড়ুয়ার জন্য একটি দেহ ব্যবহার হওয়ার কথা।
কোন দেহগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, আর কোনগুলি সংরক্ষিত থাকছে, তা-ও রেজিস্টার মেনে করতে হবে। অনেক সময়ে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরাও দেহের নানা অঙ্গ তাঁদের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করেন।
অধ্যক্ষ জানান, দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে কি না, তা দেহ গ্রহণের সময়েই নিশ্চিত করতে হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সংক্রমণ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ আছে কি না, তাও জানতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের ঠিক ভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়টিও বলা হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘মহৎ উদ্দেশ্যে দান করা দেহের সম্মান যাতে বজায় থাকে, তা-ও দেখা দরকার।"