• রাজভবনের সামনে নয়, এবার রাজ্যের ডিজির দফতরের সামনেই বসে পড়বেন শুভেন্দু!
    ২৪ ঘন্টা | ২১ জুন ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজভবনের সামনে বিক্ষোভের স্থান-বদল! হাইকোর্টে এবার নিজেই বিকল্প জায়গায় প্রস্তাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান বসতে চান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।

    ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্য়ের ভোট পরবর্তী 'অশান্তি'। 'আক্রান্ত'দের সঙ্গে নিয়ে যখন রাজভবনে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন, তখন শুভেন্দুকে পুলিসি বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। রাজ্যপালকে সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে যেতে হয় তাঁকে। এরপরই রাজভবনের সামনে 'আক্রান্ত'দের নিয়ে ধরনায় বসতে চেয়ে কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু। অনুমতি না মেলায় শেষপর্যন্ত মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।

    এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে রাজভবনে সামনের ধরনায় বসেছিল তৃণমূল। হাইকোর্টে শুভেন্দু আইনজীবী সওয়াল করেন, 'রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন রাজ্যপালের সামনে আমরা প্রতীকী অবস্থানে বসতে চাইছি। শান্তিপূর্ণভাবে এই অবস্থান করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে আমাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। কী এই প্রশাসনিক কারণ? ১৪৪ ধারা? ১৪৪ ধারার কারণেই যদি আমাদের আবেদন বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল'?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পাল্টা প্রশ্ন ছিল, 'একজনকে যদি ভুল করে বা অন্যায়ভাবে কিছু দেওয়া হয়, তার মানে এই নয় যে অন্য কোনও ব্যক্তিরও তার ওপর অধিকার জন্মায়। কিন্ত এটা কোনও দুজন ব্যক্তির মধ্যে কলহ নয়। এটা দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেকার বিতর্ক'। শুধু তাই নয়, মামলাকারীকে বিকল্প জায়গা ভেবে রাখারও পরামর্শ দেন বিচারপতি। আজ, শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হল।

    তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, 'বিজেপির কাছে শুভেন্দু এখন ছাড়া গোরু। বিজেপি বলে দিয়েছে, মুরলীধর লেনে ঘোরোফেরা করবে না। সল্টলেকে পার্টি অফিসে সামনে যেন তোমার মুখও দেখতে পাওয়া না যায়। তাই কখনও রাজভবনের পাশে, কখনও ভবানীভবনের পাশে যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারে, কোনও আপত্তি নেই রাজ্য় বিজেপির। পরিষ্কারভাবে বলছি, রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া শুভেন্দু  অধিকারীর নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার মরিয়া, নির্লজ্জ প্রয়াস এই ধরণের সস্তার নাটক'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)