• কাশ্মীর বা কেরালা নয়, কলকাতার 'দোরগোড়ায়' হাউসবোটে থাকার সুযোগ
    এই সময় | ২১ জুন ২০২৪
  • কেরালা বা কাশ্মীরে যেতে হবে না। এবার কলকাতা থেকে কিছুটা দূরেই হাউসবোটে থাকার সুযোগ। আর এই সুযোগ এনে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটের পাশেই রয়েছে মঙ্গলধারা ট্যুরিজম প্রপার্টি। সেখানেই রয়েছে এই হাউসবোটটি। গঙ্গাবক্ষে তা অবস্থিত। সেখানে রয়েছে থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের ব্যবস্থা।এই হাউসবোটে খরচ কেমন?

    কেরালা বা কাশ্মীর-দুটি জায়গায় বেড়াতে গেলেই যেই বিষয়টি সবার আগে মাথায় আসে তা হল খরচ। এই হাউসবোটটির খরচা কি নাগালের মধ্যে?ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক, এক রাত এই হাউসবোটের এসি ডবল বেডরুমের ক্ষেত্রে ভাড়া চার হাজার। তবে তা নির্ধারিত মূল্য কিনা তা স্পষ্ট নয়। ওয়েবসাইট থেকে ভাড়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।

    কী ভাবে পৌঁছবেন এই হাউসবোটে?

    কলকাতা থেকে ব্যারাকপুর স্টেশনে পৌঁছে টোটোতে করেও যাওয়া যাবে গন্তব্যে। এছাড়াও গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে। ঘোরা যাবে আশেপাশের জায়গাগুলিতেও। এর মধ্যে রয়েছে অন্নপূর্ণা মন্দির, গান্ধীঘাট, মঙ্গল পান্ডে পার্কেও। সেখানে রয়েছে একটি কোঠি, যা ভুতুড়ে বলে অনেকে গন্য করেন। গ্যারিসন চার্চটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ জমানায়। এই হাউসবোটে গেলে তাও একফাঁকে দেখে আসা যাবে। পাশাপাশি রানি রাসমণি ঘাটের কাছেই অবস্থিত অন্নপূর্ণা মন্দির, যা অনেকটাই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি। অর্থাৎ হাউসবোটটিতে গেলে এই জায়গাগুলি ঘুরে দেখার সুযোগ থাকছে।

    কী ভাবে করবেন বুকিং?

    এই হাউসবোটে থাকার জন্য বছরভর ভিড় থাকে পর্যটকদের। ফলে অনলাইনেই রুম রয়েছে কিনা বা বুকিং পর্ব সারা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে https://wbtdcl.wbtourismgov.in/home-এ গিয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও +91-9874026921 নম্বরে ফোন করে করা যাবে বুকিং। পাশাপাশি malanchatouristlodge@gmail.com-তে মেল করে নেওয়া যাবে তথ্য। মোটের উপর শহর কলকাতার খুব কাছেই ছিমছাম এই হাউসবোটে খাওয়া, ঘোরা, বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে। খরচও থাকছে নাগালের মধ্যে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই দিঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। এর ফলে দিঘার পর্যটন মানচিত্রে বড় বদল আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিকেও ঢেসে সাজানো হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)