বিজেপি ছেড়ে দলে দলে ঘাসফুলে যোগদান, মথুরাপুরে পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের
এই সময় | ২১ জুন ২০২৪
লোকসভা নির্বাচন মিটতেই একের পর এক পঞ্চায়েত হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসছে গেরুয়া শিবিরের। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মথুরাপুরে আরেকটি পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের ৯ জন সদস্য যোগদান করল তৃণমূল কংগ্রেসে।মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। শুক্রবার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান হলেন প্রশান্ত হালদার।
কৃষ্ণ চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেসের জয়লাভ করে। অন্যদিকে, বিজেপির ৫ জন প্রার্থী জয়লাভ করলেও পরে ২জন জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী ও ২ জন জয়ী নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের পরই কৃষ্ণচন্দ্রপুরের ৯ জন জয়ী বিরোধী প্রার্থী যোগদান করল তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলেই বিরোধী শূন্য হল কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রসঙ্গত, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তাঁর এলাকাতেই পঞ্চায়েত দখলে এল তৃণমূলের।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই আমি শাসক দলে যোগদান করলাম। আমাদের এলাকায় পানীয় জল থেকে রাস্তাঘাট বেশ কিছু কাজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তৃণমূলের হাত ধরে সেই কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগোবে বলেই আশা রাখছি।’ কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই এলাকার সাংসদ বাপি হালদার বলেন, ‘সবাই একজোট হয়ে তৃণমূলের ঘাসফুল প্রতীককে সমর্থন করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা সকলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কোচবিহার জেলাতেও লোকসভা নির্বাচনের পর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্দরান ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির ৩ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করেন। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল কংগ্রেস। এর সঙ্গে কোচবিহার জেলাতেই লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর জেলায় ভেটাগুড়ি-১, ভেটাগুড়ি-২ মাতালহাট সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে এনেছে রাজ্যের শাসক দল।