অবশেষে স্বস্তি, খোঁজ মিলল রায়দিঘির নিখোঁজ ট্রলার সহ ১৩ মৎস্যজীবীর
এই সময় | ২১ জুন ২০২৪
তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বাঘেরচরের কাছে হদিশ মিলল রায়দিঘির নিখোঁজ ট্রলারের। ট্রলারে থাকা ১৩ মৎস্যজীবীই সুস্থ রয়েছেন বলেজানা যাচ্ছে। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে হদিস মিলল রায়দিঘির নিখোঁজ হওয়া ট্রলার সহ ১৩ জন মৎস্যজীবীর। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বাঘেরচরের কাছে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এমনকী স্যাটেলাইট সিস্টেম ফ্রিকুয়েন্সি সিগন্যাল না থাকায় ট্রলারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহায়তায় ট্রলারটির খোঁজ মেলে জানান ডায়মন্ড হারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ। ট্রলারটিকে নিয়ে আসা হচ্ছে রায়দীঘিতে। ১৩ জন মৎস্যজীবী সবাই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।এর আগে খবর পাওয়া যায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন মৎস্যজীবী। হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না ট্রলারটিরও। ঘটানার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। উদ্বেগ ছড়ায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরবারের মধ্যেও। গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোটা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৫ জুন এফ বি মাতৃ আশিস ট্রলারে চেপে মাছ ধরতে যান ১৩ জন মৎস্যজীবী। কিন্তু ১৮ জুন থেকে ওই ট্রলারটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানান মালিক। যার জেরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। পরিবারের সদস্যদের খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীজের পরিবারের সদস্যরাও।
এই বিষয়ে ট্রলারের মালিক সুকমল পয়রা বলেন, '১৭ তারিখ সোমবার সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের দিকে ঢুকে যেতে পারে। প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি,সবার দিকে তাকিয়ে সঠিক পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়। হলদিয়া কোস্ট গার্ডকেও জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার ওরাও হোভারক্র্যাফ্ট ও জাহাজ নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। মেরিনকেও জানিয়েছি, ইউনিউয়নের সঙ্গেও সবসময় যোগাযোগ রাখছি।'
অন্যদিকে রায়দিঘি ফিশারম্যান ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলোক হালদার বলেন, 'মাতৃ আশিস নামে একটি ট্রলার নিখেঁজ। ১৩ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন ট্রলারটিতে। কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কোস্ট গার্ডকে মেল করেছি। প্রশাসনকেও জানা হয়েছে। যদিও একনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। তাই প্রত্যেকেই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। যাতে তাঁদের তাড়াতাড়ি খুঁজেবের করা যায়, সেই জন্য প্রশাসসেনর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।' অবশেষে সেই ট্রলারে খোঁজ পাওয়া গেল।