দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে। শিকল বন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। মানসিকভাবে তিনি অসুস্থ থাকার কারণেই তাঁকে শিকল বন্দি করে রেখেছেন পরিবারের লোকজন। অমানবিকতার চিত্র ধরা পড়ল এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।দুটি পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় বন্দি দশায় কাটাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘীর শ্রীফলতলা এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মোল্লা (৩৬)। কখনও দুটি পায় শিকল বাঁধা অবস্থায় কিছুটা হাঁটছেন, কখনও আবার কোথাও বসে অপলক নয়নে তাকিয়ে রয়েছে পথ চলতি মানুষের দিকে। বন্দি দশা আর কতদিন? দেখতে দেখতে প্রায় ১৫টি বছর কেটেছে। আরো কত বছর তাকে এইভাবে থাকতে হবে কোন উত্তর নেই পরিবারের লোকের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘি শ্রীফলতলার এই ইব্রাহিম মোল্লা আর পাঁচটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে রায়দিঘী এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই যুবকের মাথার সমস্যা হয়ে যায়। আর্থিক অনটন দারিদ্রতার কারণে তাঁকে ভালো চিকিৎসা করার সুযোগ পায়নি পরিবার। অসহায়তা থেকেই তাঁকে এভাবে পায়ে শিকল বেঁধে রেখে দেওয়া হয়।
তবে সারা জীবন ধরেই কি এই বন্দী দশায় জীবন কাটাবে ইব্রাহিম তার উত্তর বা কে দেবে? পরিবারের সদস্য আম্বিয়া মোল্লার দাবি, চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিছু উন্নতি হচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওঁর পায়ের শিকল খুললেই মানুষকে ধরে মারধর করছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারাও বিব্রত হচ্ছেন। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে তাঁকে শিকল বেঁধে রাখতে হচ্ছে। ভালো চিকিৎসা যদি সুযোগ পাওয়া যেত হয়তো বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেত ইব্রাহিম বলে দাবি পরিবারের।