এদিকে কলকাতায় জমি দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাকি বলেন, ‘কিছু কিছু অফিসার টাকা খাচ্ছেন।’ সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে ভোটের সময় রাজ্যে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে প্রচুর টাকা ঢুকেছে বলে দাবি করেন মমতা। এই নিয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিদ্যুতের বিল কমানো নিয়েও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুতের বিল অতিরিক্ত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রতিটি দফতরের মাথায় সোলার প্যানেল বসানোরও পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে রাজ্য সরকারের সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই একাধিক আধিকারিকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে কাজ নিয়ে সতর্কও করেন মমতা। এদিকে সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তার বারংবার দিল্লি সফর নিয়ে নাকি বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমারকে বকুনি শুনতে হয় মমতার। এর পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষা বিভাগের কাজ নিয়ে দফতরের সচিব অনুপ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতার রোষের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন। আর সেই হাইপ্রোফাইল বৈঠকের ১০ দিন যেতে না যেতেই ফের নবান্নে বৈঠকে মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সরকারি কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে।