তন্ময় ঘোষ জানান, সেদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বেঁচে ফিরবেন ভাবেননি। পিছন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মালগাড়ি ধাক্কা মারে। লাগেজ কামরার পর তৃতীয় নম্বর জেনারেল কামরায় তাঁরা ছিলেন। হঠাৎই জোরে একটি ঝাঁকুনি দেয়। তারপর ট্রেনটি লাইন থেকে নেমে যায়। তারপর আর কিছু বুঝতে পারেনি বলে জানান। তন্ময় ঘোষ সেই অবস্থাতেও ৫ জনকে ওই কামরা থেকে উদ্ধার করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু শৌণক সাহা। এমন সময় রাঙাপানি এলাকার স্থানীয় মানুষরা খবর পেয়ে ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। তন্ময় ও শৌণকরা বলেন, তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাঁরা কখনওই ভুলতে পারবেন না। স্বপ্নের মধ্যেও তাড়া করছে আতঙ্ক।
তাঁরা বাড়িতে ফেরার পর আজ দুপুরে তাঁদের বাড়িতে দেখা করতে যান অসীমা পাত্র। দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলে যখন জানতে পারেন ধনিয়াখালির ২ যুবক আছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে অসীমাকে ফোন করে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার কথা বলেন। বিধায়ক এরপরেই বিডিও ও ওসিকে নিয়ে আহতদের বাড়িতে যান। সবরকম সাহায্য করেন।